বরিশাল সংবাদদাতাঃ অবশেষে শেবাচিমের সেই গর্ভবতী প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতৃ পরিচয় পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার ঝালকাঠী জেলা সদর শিতলাখোলা থেকে আসা স্মৃতি রানী (১৫) নামে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে শেবাচিমের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। ভর্তি করার পর প্রতিবন্ধীর পিতৃ পরিচয় নিয়ে শেবাচিমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওই ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের তোপের মুখে প্রতিবন্ধীর স্বজনদের কাছ থেকে লম্পটের পরিচয় মেলে। লম্পটের নাম শেখর।
সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠী জেলার সদর শিতলাখোলা গ্রামের বাসিন্দা চায়ের দোকানদার বাবুলের ১৫ বছরের কিশোরী কন্যা স্মৃতি রানী কয়েক বছর ধরে প্রতিবন্ধী। সংসারের তাড়নায় প্রতিদিন স্বামী-স্ত্রী বাসায় কন্যা স্মৃতি রানীকে রেখে চায়ের দোকানদারী করে সংসার চালান। এই সুযোগে প্রতিবেশী শেখর বাসায় এসে স্মৃতি রানীর সাথে অবৈধ মেলামেলা করেন। এক পর্যায়ে স্মৃতি রানীর পরিবার আসা-যাওয়া দেখে শেখরকে নিষেধ করে দেয়। তাছাড়া শেখর একজন বিবাহিত। এরপরও লম্পট শেখর এই অবুঝ প্রতিবন্ধী স্মৃতি রানীর সাথে গোপনে মেলামেশায় থেমে থাকেনি। হঠাৎ স্মৃতি রানী অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসককে দেখানো হলে চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী তাকে আল্ট্রাসনো করা হলে ২৬ সম্পাহের অন্তঃসত্তার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ ঘটনা লম্পট শেখর জানতে পেরে স্মৃতি রানীর পরিবারকে তার পরিচয় না দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পরে প্রতিবন্ধীর পরিবার কোনভাবেই ২ ডিসেম্বর লম্পটের পরিচয় মেলেনি। শুধু একটাই কথা যদি জানতে পারে আমাদেরকে মেরে ফেলবে। এ বিষয়ে প্রতিবেদক অনেক কৌশলে গর্ভবতী পিতার পরিচয় উদ্ধার করেন। বর্তমানে প্রতিবন্ধী শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।