শাহীন হাসান, বরিশালঃ বরিশাল মেট্রোপলিটন থানাগুলোতে চৌকশ পুলিশ অফিসারের চরম সংকট বিরাজ করছে। মামলা রুজু এবং মামলা দায়েরের জন্য বিচার প্রার্থীদের আবেদন এবং ধারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেকটা ভুলে ভরা থাকে। চৌকশ পুলিশ অফিসার কম এবং স্বল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুলিশ অফিসারদের সংখ্যা বেশি থাকায় এই ধরনের ভুল অহরহ হচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ বিচারকরাও। তাইতো আদালত থেকে থানার বড় কর্তাকে তাগিদ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে।
সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪টি থানা রয়েছে। এ সকল থানায় অফিসার ইনচার্জগনের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে আসামি গ্রেফতার ও নগর আইনে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে চৌকশ পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণ সম্প্রতি জিন্নাত আলী মাস্টারের হত্যাকারী রূপমকে গ্রেফতারের ঘটনা। রূপমকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে সারাদেশে বরিশাল পুলিশ সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু থানাগুলোতে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন, যারা মামলা তদন্ত ও আসামী পাকড়াও করতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এছাড়া কিছু পুলিশ অফিসার রয়েছেন যারা মামলার তদন্ত বা অফিসার ইনচার্জদের অনুপস্থিতে মামলা রেকর্ড করার সময় ব্যাপক ভুল থাকে। এ সকল মামলাগুলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে কপি প্রেরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, বরিশাল সদর আদালতের একাধিক পুলিশ কেসের মামলা রুজু ও তদন্তে ধারা সংক্রান্ত ভুল ধরা পড়ে। এ নিয়ে বিচারক একাধিক পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে মামলা আমলে নিয়ে আসামীদের প্রতি সমন ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছেন। পুলিশি দূরদর্শিতার অভাবে এবং চৌকশ পুলিশ অফিসারের সংকট থাকায় এ সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভুগছে বিচার প্রার্থীরা।