ইউপি সদস্য ফরিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বরিশালের জাগুয়ায় ইউপি সদস্য খুনের ঘটনায় আরেক সদস্য ও তার স্ত্রী সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিক কিংবা কোন সংস্থার সাথে কথা বলতে রাজী হয়নি পুলিশ। ৭ দিন নিখোঁজের পর গত শনিবার সকালে কালিজিরা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিএনপি নেতা জাগুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদ আহম্মেদের ক্ষতবিক্ষত লাশ। এ ঘটনায় ফরিদের ভাই ইউনুচ হাওলাদার বাদী হয়ে জাকির মেম্বারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেম্বার ফরিদের লাশ উদ্ধারের পরই ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির গা-ঢাকা দেয়। পরে কোতয়ালী পুলিশ সন্দেহজনক জাকির সহ তার স্ত্রী মাহমুদাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মামলায় আসামী করা হয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন (৩৫), আওলাদ হোসেন (দুলাল), নাজমীন আক্তার পপি, রিয়াজ সর্দার (৩৫), হানিফ হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম লাকি, সোহাগ এবং রুস্তুম আলী সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫। এদিকে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটনের লক্ষ্যে আরো দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন, রুস্তুম আলী ফকির (৬৫) ও জহিরুল ইসলাম লাকি (৩৩)।

সূত্রে প্রকাশ, গত ৪ ডিসেম্বর নিহত ফরিদ মামলায় হাজিরা দিতে বরিশাল আদালতে আসেন। সেই মামলাটির জি,আর নং ছিল ১৩৬/০৮; যা ৮ মার্চ ’০৮ সালে দায়ের করা। মামলাটিতে হাজিরা শেষে বাড়ি না ফেরায় নিহতের পরিবারের পক্ষ হতে গত ৫ ডিসেম্বর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল (যার নং ২৬৬)। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত শনিবার সকালে কালিজিরা নদীতে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। কোতয়ালী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধারের পর ইউপি সদস্য ফরিদের লাশ বলে সনাক্ত হয়।

মামলায় বাদী ইউনুচ উল্লেখ করেন, আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার সাথে জাকির সহ রিয়াজ, আওলাদ জড়িত রয়েছে। মামলায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, নিহত ফরিদ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন কোতয়ালী থানার এসআই আনিচুর রহমান।