টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ ও ডাক্তার, তুমি কত শত পাশ করে এসেছো বিলেত ঘুরে মানুষের যন্ত্রণা ভুলোতে তোমার এমবি বিএস মামা এফ আর সিএস বোধ হয় এটু-জেড ডিগ্রী ঝোলাতে। ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়, আমাদের চোঁখে সে তো ভগবান। কশাই আর ডাক্তার একই তো নয় কিন্তু ২টোই আজ প্রফেশান। কশাই জবাই করে প্রকাশ্যের দিবালোকে তোমার আছে ক্লিনিক আর চেম্বার। গানটি অতি জনপ্রিয় এক ইন্ডিয়ান বাংলা শিল্পীর গাওয়া, নাম তার নচিকেতা। এই গানের কথা গুলোর সাথে রয়েছে গলাচিপা ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের অনেকটা মিল। খ্যাতিমান শিল্পীর গানের কথাগুলো অনুসরণ করেই চলছে এখানকার ডাক্তারগণ। সরকারি ফি দিয়ে সেবা নেয়ার জন্য আসা রোগীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এমন অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নামে। তবে ব্যাপারটি জানতে চেয়ে এই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ)’র কাছে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমাদের নামে এমন অভিযোগের কথাটি মিথ্যা নয়; তবে আংশিক সত্য। আমরা রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেই। তবে সেটা ডিউটি সময়ে নয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমাদের ডিউটিরত সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই সময়টা আমরা সকলেই সরকারি নিয়ম মোতাবেক সেবা দিয়ে থাকি। তবে ডিউটি শেষে আমরা দূরের রোগী দেখি এবং এর বিনিময়ে আমাদের ফি নিয়ে থাকি। এটা এভাবে দেখার কারণ হচ্ছে গলাচিপার সাথে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। বিকেল বেলা যে সব রোগী আমাদের নিকট সেবা নিতে আসে তারা সে দিন আর বাড়ি ফিরতে পারেন না। এই জন্য রোগীদের সেবা ও যোগাযোগের কথা ভেবে আমরা সিভিল সার্জনের সাথে আলাপ করে এমন সিদ্ধান্ত নেই। তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি ডিউটিরত সময়ও ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, আমি আহসাব (তুহিন) ও মনিরুল ইসলাম রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ম সেবা দেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে রোগীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করার সময় হাতে না হাতে সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এ হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। এরপর কিছুদিন টাকা আদায় বন্ধ থাকলেও বর্তমানে আবার শুরু হয়েছে এই বাণিজ্য। আর এভাবেই প্রতিদিন গলাচিপা হাসপাতালের ডাক্তরদের হাতে জবাই হচ্ছেন এই অঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।