মনপুরা সংবাদদাতা ॥ ‘ভাই আমি আরো পড়তে চাই’ ‘আমি বেশি পড়ালেখা কইরা মানুষ হইতাম চাই’ কিন্তু কি আর করুম আমাগো চরে কোন উচ্চ শিক্ষার স্কুল নাই, ভাই আমনেরা সবাই মিল্লা চেয়ারম্যানেরে ধইরা আমোগো কলাতলীর চরে একটা উচ্চ শিক্ষার স্কুল খুলতে কন যাতে আমরা পড়ালেখা কইরা মানুষের মত মানুষ হইতে পারি, উচ্চ শিক্ষার জন্য কলাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী তাজনুর বেগম আবেগ তাড়িত কন্ঠে বলনে। পাশ থেকে ছাত্র সুমন বলেন, ‘আমরা আরো পড়তে চাই’ ‘উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিন’।
মনপুরা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন ১০ কিলোমিটার উত্তরে কলাতলী চর। এ চরে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। কলাতলী চরে ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭টি আনন্দ স্কুল আছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ৪২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৭টি আনন্দ স্কুলে ২১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা লাভ করছে। এইসব ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারছেনা চরে কোন নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকার কারনে। এ ছাড়াও ১০ কিলোমিটার উত্তাল মেঘনা পাড় হয়ে মূল ভূ-খন্ডেও যেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারছেনা। প্রতি বছর কলাতলী চর উচ্চ কিংবা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করে ঝড়ে পড়ছে শত শত শিক্ষা অনুরাগী ছাত্র-ছাত্রী। কলাতলী চরের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে ভবিষ্যতে দেশের সু নাগরিক হতে পারে সেই লক্ষ্যে চরে দ্রুত একটি উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্দ্যেগে গড়ে উঠুক মনপুরার শিক্ষা অনুরাগী সচেতন মহলের দাবী।
এব্যাপারে কলাতলী চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর বিজয় দাস বলেন, এই চরে প্রতি বছর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ কিংবা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করে ঝড়ে পড়ছে শতশত শিক্ষা অনুরাগী ছাত্র-ছাত্রী। তাই দ্রুত এ চরে একটি উচ্চ বিদ্যালয় খুবই দরকার।
মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, এই চরে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় দরকার তাই চরে বসবাসকারী সবার সাথে আলাপা করে দ্রুত একটি বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিবো।