শিশুদের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম – বরিশালে ৩৫ শিশুর পরীক্ষার রেজাল্ট বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে রীট

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখায় তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৩৫ শিশুর ফলাফল বাতিল করায় শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসক এবং সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করে উচ্চাদালতে রীট করা হয়েছে।

গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) ফল বাতিল হওয়া দু’শিশুর পক্ষে ওই রীট আবেদন করেন মোঃ নূরুল হক ও মোঃ আক্তারুজ্জামান। উচ্চ আদালতের বিচারক এ.এইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে ওই রীট পিটিশন দাখিল করা হয় (যার নম্বর ১৩৫/২০১২)। রীটে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার ২৭ ডিসেম্বর তারিখে ঘোষিত ফলাফল বহাল, শিক্ষার্থীদের ভর্তির আদেশ দেয়া এবং ২ জানুয়ারি পুনরায় ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাহারের আদেশ চাওয়া হয়েছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।

বাদ যাওয়া শিশুর অভিভাবক ও রীট আবেদনকারী মোঃ নূরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, একবার জনসম্মুখে জেলা প্রশাসক আমাদের শিশুদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন। ঘোষনার ৫দিন পর পুনরায় উত্তীর্ণ ৩৫ শিশুকে বাদ দেয়া হয়। এই ঘটনায় আমার শিশু মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চাদালতে রীট করেছি। শিশুদের অভিভাবকদের পক্ষে রীট আবেদনকারী আইনজীবী মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল বাতিল করায় শিশুর অভিভাকরা আদালতে প্রতিকার চেয়ে রীট করেছেন। বিষয়টি আমরা ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠিয়েছি।

বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিরো রোকসনা বলেন, আমরা শুনেছি আদালতে রীট হয়েছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিসিয়ালী কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর বরিশাল জিলা স্কুল এবং সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে গত ২৭ ডিসেম্বর জনসম্মুখে মাইকযোগে ওই ফলাফল ঘোষণা করে তারা। এসময় উত্তীর্ণ শিশুরা যখন ভর্তি হবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই প্রশাসন ওই ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে জেলা প্রশাসন পুনঃরায় ফলাফল ঘোষণা করে। সেই ফলাফলে উত্তীর্ণ হওয়া ৩৫ শিশুকে বাদ দেয়া হয়।