রোটেশন বাতিলের দাবীতে এবার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে যাত্রীবাহী লঞ্চ আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচল বাতিলের দাবীতে শুক্রবার স্থানীয় জনতা মেহেন্দিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবোঝাই একটি লঞ্চ আটকে রেখেছে। বিকেল ৪টায় কোকো-২ নামক লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। তার আগেই স্থানীয় জনতা লঞ্চটি আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। ঢাকাগামী যাত্রীদের অপর একটি এমএল টাইপের লঞ্চে বরিশাল পাঠানো হয়। বরিশাল এসে ঐসব যাত্রীরা ঢাকাগামী লঞ্চে উঠেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোটেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে মেহেন্দিগঞ্জে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছিলো।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, মেহেন্দিগঞ্জ-ঢাকা রুটে কোকো কোম্পানীর দু’টি ও শরীয়তপুর-৩  এবং প্রিন্স অব বরিশাল চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র রুট পারমিট রয়েছে। কিন্তু বিগত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আল-মামুন দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি রুটের যাত্রী জিম্মি করতে যে রোটেশন পদ্ধতি চালু করেন তাতে মেহেন্দিগঞ্জ-ঢাকা রুটে ৪টির পরিবর্তে উভয় প্রান্ত থেকে ২টি করে লঞ্চ পরিচালনা করতে থাকেন। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে রোটেশন বাতিলের দাবী জানান। নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে বরিশাল-ভোলা-পটুয়াখালী সহ কয়েকটি রুটে রোটেশন বাতিল করে বিআইডব্লিউটিএ’র রুট পারমিট অনুযায়ী লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দেয়। মেহেন্দিগঞ্জ ও কাউখালী সহ অপর রুটগুলোতে রোটেশন প্রথা বহাল ছিলো। তিন দিন পূর্বে মেহেন্দিগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দারা রোটেশন বাতিলের জন্য আল্টিমেটাম দেয়। সে অনুযায়ী কোকো-২ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহন করে মেহেন্দিগঞ্জে আসার সময় তাদের গ্র“পের কোকো-১ লঞ্চটি নিয়ে আসার কথা ছিলো। কিন্তু পূর্বের রোটেশন বহাল রেখে কোকো-২ গতকাল যাত্রী পরিবহন করতে আসলে স্থানীয় জনতা তা আটক করে। বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা ওয়াকিল নেওয়াজ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেহেন্দিগঞ্জের যাত্রীরা একটি একতলা লঞ্চযোগে বরিশালে পৌছলে তাদেরকে ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে তারা কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি এবং বরিশালের পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।