তথ্য প্রযুক্তির হাইওয়েতে প্রবেশ করছে শেবাচিম হাসপাতাল

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ শেবাচিম হাসপাতাল দীর্ঘ ৪০ বছর পর তথ্যপ্রযুক্তির হাইওয়েতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ছোঁয়া লাগবে ডিজিটাল পদ্ধতির। ভাটা কালেক্টর সূত্রে, বিটিসিল এর সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৬২ হাজার টাকার চেক বিনিময় করেছে শেবাচিম হাসপাতাল ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড কানেকশন পেতে।

হাসপাতালের অফিসিয়াল সূত্রে জানা যায়, এখানে বর্তমানে ৩৬টি কম্পিউটার রয়েছে। মেডিকেল কলেজ, স্টুডেন্ট হোস্টেল, নার্সিং ইনস্টিটিউট সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেয়া হবে ইন্টারনেট কানেকশন। এ কানেকশনের কাজ শেষ করতে ঢাকার একটি নামী দামি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সাথে ৪ লাখ টাকার কন্টাক্ট  হয়েছে সংশি¬ষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

পরিচালক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ের অফিসগুলো থেকে হাসপাতালের দৈনিক তথ্যাবলী অর্থাৎ আপডেট ডাটা পাঠানোর জন্য এ ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে তো ইন্টারনেট মডেম ব্যবহার করা যায় তাহলে কেন ব্রডব্যান্ড এ ব্যাপারে বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন রুমে সিটি স্ক্যান, এমআরআই সহ হাই রেডিয়েশন মেশিন থাকায় ইন্টারনেট মডেম কাজ করে না। মৃত্যু হয় শিশু ও মা, আউটডোর চিকিৎসা সেবার সংখ্যা, রোগী ভর্তির সংখ্যাসহ প্রতিদিন বহুবিধ তথ্যাবলি পাঠাতে হয়। এছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভালোভাবে জানতে প্রত্যেককে ১৫ দিনের কোর্স করানো হবে। এতে অফিসিয়াল কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়বে বলে জানান। সরেজিমন সূত্রে, সংশি¬ষ্ট কম্পিউটার অপারেটররা বলেন, কম্পিউটারগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করার কারণে খুবই নিম্নমানের। ৩/৪ দিন পর পর নষ্ট হয়।