হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের সাতটি মামলা দায়ের

মার্চ বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হরেকৃষ্ণ বল্লভ, সন্তোষ বল্লভ, রবেন ও হরেন বল্লভকে আসামি করে একটি নারী-নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। পরেরদিন ২২ মার্চ সুধাংশ বল্লভ বাদি হয়ে বরিশাল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শ্যামলী বল্লভ, শিল্পী, যমুনা, গীতা, নরেন, হরে কৃষ্ণ বল্লভসহ ৭জনকে আসামি করে ফৌজদারি আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও সুধাংশর সহদর অমল বল্লভ বাদি হয়ে গত ২০ এপ্রিল কোটালীপাড়া থানায় ফৌজদারি আইনে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পর্যায়ক্রমে প্রভাবশালী সুধাংশ বল্লভ বরিশাল আদালতে, আগৈলঝাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় হয়রানির উদ্দেশ্যে ওই দিনমজুর পরিবারগুলোর ১০ জন নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে নারী নির্যাতন মামলায় সিনিয়র আইনজীবি মির্যা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন সরেজমিন তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে বাদির আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা নেই বলে গত ১৭ এপ্রিল আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরেও নারী নির্যাতন মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। যার প্রেক্ষিতে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিনমজুর হরেকৃষ্ণ বল্লভকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতকে গতকাল বুধবার সকালে বরিশাল আদালতে প্রেরন করা হয়। হরেকৃষ্ণ বল্লভকে গ্রেফতারের পর পুলিশের গ্রেফতার আতংকে ওই বাড়ির অসহায় দিনমজুর পরিবারের নারী-পুরুষরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সরেজমিনে জয়রামপট্টি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় নারায়নখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র হালদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ বাড়ৈ, স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায় বল্লভ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিন্দ্র হালদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মনিমোহন বল্লভের পৈত্রিক সম্পত্তির গাছ জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে গেছে সুধাংশ ও তার লোকজনে। ওইসময় প্রভাবশালীদের বাঁধা দিতে গিয়ে সুধাংশ ও তার লোকজনের হামলায় আহত হয় শিল্পী ও যমুনা বল্লভ। এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হলে সুধাংশ শালিস বৈঠককে অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে সুধাংশ তার স্ত্রী কদমী বল্লভ ও অমল বল্লভ বাদি হয়ে নারী-নির্যাতনসহ সে সাতটি মামলা দায়ের করেছে তার সকল ঘটনাই মিথ্যে বলে তারা দাবি করেন।
তারা দিনমজুর অসহায় ওই পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে সুধাংশ বল্লভ গংদের দায়ের করা মিথ্যে মামলায় পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রসাশনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।