অপহৃত ব্যক্তির ভাতার টাকা উত্তোলন – আগৈলঝাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী যুবককে অন্যত্র সরিয়ে রেখে অপহরন মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরনের ৮মাস পরে প্রতিবন্ধীর ভাতা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছে।

মামলা সূত্রে ও সরেজমিনে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আস্কর গ্রামের শশধর বিশ্বাস ২০০৮ সনে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বিধান হালদারের কাছে ৭৮শতাংশ জমি বিক্রি করে। এরপূর্বেও তার কছে ২টি দলিলে ৮৯ শতক জমি বিক্রি করেছিল। জমি বিক্রির ২ বছর পরে ২০১০ সালে শশধর (৮০) বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যায়। শশধরের ছেলে বাক ও চলৎ শক্তিহীন প্রতিবন্ধী জগদানন্দ ২০১১ সালে ৩০ জানুয়ারী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ থানায় ৫ ফেব্র“য়ারী একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়, ডায়েরী নং-১৫। জমি ক্রয়ের পর পূর্বশত্র“তার জের ধরে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী জগদানন্দের কাকাত ভাইয়ের স্ত্রী আলো রানী বাদী হয়ে বিধান হালদার, সুনীল হালদার, অমল বল¬ভ ও উপেন বল¬ভকে আসামী করে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করে। ২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারী নিখোঁজ হওয়ার ৮ মাস পরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আগৈলঝাড়া সোনালী ব্যাংক থেকে প্রতিবন্ধী জগদানন্দ ভাতা উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে আস্কর বাজারের পল্লী চিকিৎসক মনিমোহন হালদার জানান, শশধরকে আমি চিকিৎসা করেছি। বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। বাগধা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য অশোক হালদার বলেন, আমি যতদুর জানি মামলার বিবরণীতে উল্লেখিত বিষয় আদৌ সত্য নয়। গ্রহীতা ছাড়া কিভাবে তার ভাতা তোলা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করেন। তারা জানান, জগদানন্দ নিখোঁজ বা গুম হলে তার ভাতা তোলা হল কিভাবে ? একটি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং বল্ল¬ভ বাড়ির বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী আলো রানীকে দিয়ে এই মামলা দায়ের করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।