যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে খুঁনতি ছ্যাঁকা!

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দাবিকৃত যৌতুকের পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পর বাকি তিন লক্ষ টাকার দাবিতে শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও ননদেরা অমানুষিক নির্যাতনের পর গৃহবধূ কামরুন্নাহার তমাকে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে খুঁনতি ছ্যাঁকা!(২২) গরম খুঁনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি।

আজ রবিবার গৌরনদী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের কায়সার সিকদারের কন্যা ও এক সন্তানের জননী কামরুন্নাহার তমা অভিযোগ করেন, ২০০৮ সনের ৯ মে সামাজিক ভাবে তার সাথে একই উপজেলার রামারপোল গ্রামের রশিদ ওরফে কাঞ্চন মোল্লার পুত্র দিপু মোহাম্মদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। এরইমধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। বর্তমানে যার বয়স তিন বছর। সম্প্রতি তমার স্বামী দিপু মোহাম্মদ বিদেশে যাওয়ার জন্য তমার পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। তার দাবির মুখে দুই লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করা হয়। পরবর্তীতে ধারদেনা করে দিপু মোহাম্মদ বিদেশে পাড়ি জমায়। এ সুযোগে যৌতুকের বাকি তিনলক্ষ টাকার জন্য তমার শ্বশুড় রশিদ ওরফে কাঞ্চন মোল্লা, শ্বাশুড়ি মাহফুজা বেগম, ননদ মারজান বেগম, মুক্তি বেগমসহ অন্যান্যরা মিলে প্রায়ই তমাকে শারিরিক নির্যাতন করতে থাকে। সবশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিতরা যৌতুকের টাকার জন্য পূর্ণরায় গৃহবধূ তমাকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে গরম খুঁনতি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছ্যাঁকা দেয়। বিষয়টি গৃহবধূ তমা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার প্রবাসী স্বামী দিপু মোহাম্মদকে জানালে সে (স্বামী) ক্ষিপ্ত হয়ে যৌতুকের বাকি তিন লক্ষ টাকা পরিশোধ করার জন্য তমাকে চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে গৃহবধূ তমাকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তার শশুড় বাড়ির লোকজনে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। উপায়অন্তুর না পেয়ে আহত গৃহবধূ তমা তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তমার বাবার বাড়ির লোকজনে মুমুর্ষ অবস্থায় তমাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গৃহবধূ কামরুন্নাহার তমা বাদি হয়ে কালকিনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নুর হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের জোর প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।