নিভে গেছে কালনা গ্রামের রহস্যময় আগুন

মোঃ জামাল উদ্দিন, গৌরনদী ॥ অবশেষে নিভে গেছে গৌরনদীর কালনা গ্রামের মোসলেম সিকদারের বাড়ীর রহস্যময় আগুন। ফকির জাকির হোসেন বলেছে জ্বিন আর আসবেনা। তার নির্দেশ মোতাবেক গৃহকর্তার পুত্রবধু বুলু বেগম (২০) ও তার মেয়ের ঘরের নাতি সাকিব(১২) এদের ওপর জ্বিনের আছর আছে বলে তাদেরকে ৩ মাসের জন্য বাড়ী ছাড়া করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্র“য়ারী সকাল থেকে ওই বাড়ীতে ৩টি গৃহে রহস্যজনক ভাবে কয়েক দফা আগুন লাগে। এর পর থেকে প্রতিদিন দিনে-রাতে পর্যায়ক্রমে আগুন লাগে। তবে লোকজন আসার আগেই আগুন নিভে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গত ১০ দিন ধরে হাজার হাজার জনতা ভিড় করেন ওই বাড়ীতে। পরবর্তীতে আগুনের সুত্র পাতের রহস্য উদঘাটনের জন্য ২৭ ফেব্র“য়ারী ডেকে আনা হয় আনোয়ার হোসেন নামে ফকিরকে। ফকির আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বাড়িতে জ্বিনের আছর পড়েছে তাই অগ্নিশিখা জ্বিন এ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে’ ভাল ভাবে বাড়ি বন্ধক দিলে জ্বিনের আছর দুর হয়ে যাবে’। ফকির অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে নানা মন্ত্রর পাঠদানসহ ফিকির দিয়ে বললেন, আর আগুন লাগবেনা। সে যেতে না যেতেই ওইদিন বিকেল ৫ টায় ও রাতে কয়েকবার আগুন লাগে। ওইদিন রাতে ওই বাড়ীতে বিষয়টি দেখতে যান গৌরনদীর পৌর মেয়র হারিসুর রহমান, থানারওসি আবুল কালাম। তাদের নির্দেশে ওই বাড়ীতে রাখা অটোরিক্সার ব্যাটারী ও চার্জার সরিয়ে ফেলা হয়। এর পরে ও আগুন না থামায় এলাকাবাসী বিষয়টিকে জিন- ভূতের কান্ড বলে প্রচার চালাতে থাকে।

গত ৪ মার্চ আগৈলঝাড়া আসকোর কালিবাড়ী থেকে আগুন নেভানোর জন্য আনা হয় জাকির হোসেন নামক অপর এক ফকিরকে। সে ও জানায়, বিষয়টি ভূতের কান্ডতো বটেই। আসনে ধ্যানে বসে বলেন, রুস্তুম শিকদারের স্ত্রী বুলু বেগম ও তার ভাগ্নে সাকিবের কাঁধে জ্বিন ভর করেছে। তারা ৩ মাসের মধ্যে এ বাড়ীর ধারে কাছে ও আসতে পারবেনা। ফকিরের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই গৃহবধু  বুলু ও শিশু সাকিবকে তাদের বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো তারা বাড়ী থেকে সরে যাবার পর গত ২দিনে আগুন লাগেনি। এলাকাবাসীর প্রশ্ন তাহলে কি আগুন তারাই জ্বালাতো