১২ মার্চ মহাসমাবেশ সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ আগামী ১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে সারাদেশব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি জামাতসহ ৪ দলীয় জোট ও সমমনা দল নামে পরিচিত জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো।

বিএনপির ৭৫টি রাজনৈতিক জেলার ৪৮৩ টি উপজেলাসহ ৩০৮ পৌর কমিটি, মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও প্রায় ৫ হাজারের মতো ইউনিয়ন কমিটিতে ও চলছে এ তৎপরতা। ঢাকার বাইরে থেকে রিজার্ভ বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে ১২ মার্চ সকালে কয়েক লাখ লোক ঢাকা মহানগরীতে এনে মহাসমাবেশে যোগদানের প্রস্তুতি নেয় এ জোট।

এ লক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিবদের নেতৃত্বে ৪৫টি কমিটি করা হয়েছে। এসব কমিটি জেলায় জেলায় গিয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সভা সমাবেশ করে অভ্যন্তরিন কোন্দল নিরসনসহ তাদের ঢাকায় আসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে এসেছে। এখন ঢাকায় বসে এলাকার কর্মকান্ডের অগ্রগতি মনিটরিং করছেন।

জানা গেছে, ৪৫ কমিটির অনেক সদস্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকায় ফিরেননি। কেউ কেউ আবার এখনও এলাকায় যাননি। ঢাকায় বসেই মনিটরিং করছেন। জামাতসহ জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া অন্য রাজনৈতিক দলের ও রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জানা গেছে, জামাত এ মহাসমাবেশে ব্যাপক শো ডাউনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তারা ৫ লাখ লোক জমায়েতের পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য তাদের প্রচুর পুজি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করা হয়েছে। সমাবেশে তারা তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।

বাধা সমুহ
আবাসিক হোটেলের বুকিং না পাওয়া, ইতিমধ্যে বুকিং হওয়া আবাসিক হোটেলের বুকিং বাতিল করতে মালিক ও ম্যানেজারদের পুলিশের মৌখিক নির্দেশ দেয়া, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া না পাওয়া, জেলা-থানা থেকে ঢাকায় আসার জন্য রিজার্ভ গাড়ী না পাওয়া এবং গাড়ী রিজার্ভ দিতে সরকারি নেতাদের গাড়ীর মালিকদের নিষেধ করাসহ মহাসমাবেশের আগে পড়ে পরিবহন ধর্মঘটের নামে গাড়ি-লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ করা ও সরকারি দলের নেতাকর্মী দিয়ে সমাবেশে আগতদের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও বাধা দেয়া, পুলিশ কতৃক গ্রেপ্তার ও লাঠিপেটাসহ সরকারের তরফ থেকে নানামুখী বাধার কারণে জোটের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও তাদের স্টাইলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন আর মহাসমাবেশের দিন সকালে কিংবা আগের রাতে ঢাকার বাইরে থেকে এসে মহাসমাবেশে যোগদান করার প্রকাশ্য পরিকল্পনায় নেই তারা।  

পরিকল্পনায় পরিবর্তন
পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোনো রিজার্ভ বাস না করে যে যার মতে করে ঢাকায় এসে পৌছবেন। যারা সমর্থবান তারা নিজ খরচে ঢাকায় আগেই চলে এসেছেন বা দুএকদিন আগে পাবলিক পরিবহনে আসবেন। যারা সামর্থ্যবান নন তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। তারা লোকাল বাস, লঞ্চ বা ট্রেনে করে সাধারণ যাত্রীর মতো করে ঢাকায় আসবেন। এ ব্যাপারে মরামর্শ দেয়া হয়েছে, পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের চোখ এড়িয়ে মহাসমাবেশস্থলে পৌছার জন্য।

এর বাইরেও এক ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মিডিয়াসহ প্রশাসনের সকল স্তরে সংবাদ পৌছে দেয়া যে রিজার্ভ বাস বা একত্রে কেউ ঢাকায় যাচ্ছে না। কিন্তু তারা ঠিকই ঐদিন রিজার্ভ বাসে করে সমাবেশে আসার চেষ্টা করবেন। যদি পুলিশ বা সরকারি দল পথে বাধা দেয় তারা তা মোকাবেলা করবে। প্রয়োজনে রাস্তায় বসে পড়ে রাস্তা অবরোধ করবেন।

দলীয় কোন্দলের প্রতিফলন থাকবেই
মহাসমাবেশে যোগ দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার কেন্দ্র থেকে পরামর্শ দেয়া হলেও দলীয় কোন্দলের প্রতিফলন থাকবেই। সবাই একজোট হয়ে কাজ তো করছেই না বরং কোন্দল আরো প্রকট হচ্ছে। নেতারা স্ব স্ব দায়িত্বে তার কর্মীদের আনা নেয়ার ব্যবস্থা করবেন।  অবশ্য কোনো কোনো নেতা ইতিমধ্যেই তার কিছু কিছু নেতাকর্মীকে ঢাকায় নিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে থাকার ব্যবস্থা করেছেন।

বরিশাল থেকে এম. মিরাজ হোসাইন জানান, বরিশাল বিভাগ থেকে মহাসমাবেশে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ নেতা-কর্মী অংশ নিবে বলে দাবী করেছে এখানকার বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এখানকার দুগ্রুপই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একই অবস্থা বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলা কমিটির।

বরিশাল বিএনপির বিবাদমান দুগ্রুপকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকার কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে।

কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, এখন আমরা ঢাকার কর্মসূচীকে সামনে রেখে বরিশালের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রস্তুতি মূলক সভা ও দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশাল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে ঢাকায় মহাসমাবেশে নিয়ে যাওয়া হবে।

বরিশাল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মহানগর কমিটি তাদের মতো করে যাবে। টার্গেট তো ঢাকার কর্মসূচী। আমরা শুধুমাত্র বরিশাল জেলা থেকেই লক্ষাধিক লোক নিয়ে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগদান করবো। বর্তমানে প্রতিটি থানা ও ইউনিয়ন নেতা-কর্মীদের সাথে প্রস্তুতিমূলক সভা চালিয়ে যাচ্ছি।

মহাসমাবেশে ঐক্যবদ্ধ ভাবে না হলেও যে যার মতো করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় যাবেন এমন কথাই বলছেন জেলার নেতৃবৃন্দ।

ঝালকাঠী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, আমরা লঞ্চযোগে ঝালকাঠী থেকে ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে ঢাকায় নিয়ে যাবো।

বরগুনা জেলা ও সদর উপজেলা থেকে ৫০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগদানের কথা বললেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম।

পিরোজপুর জেলা সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল জানান, সকল থানা ও ইউনিয়ন ইউনিটগুলোতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছেন। পিরোজপুর থেকে লঞ্চযোগে নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি ঢাকায় যাবেন। এ জেলা থেকে ৫০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার মহাসমাবেশে যোগদান করবে বলে জানান।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ২০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে লঞ্চযোগে ঢাকায় যাবে।

৫০ হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে ভোলা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মহাসমাবেশে যোগ দিবেন। জেলার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ ফারুক মিয়া এ তথ্য জানান।  

খুলনা থেকে বাবুল আকতার জানান, খুলনার চার দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচি ও মহাসমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করবে। কর্মসূচি বানচাল করার যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। খুলনা থেকে জোটের ১৫ হাজার কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

ঢাকা চলো কর্মসূচি এবং মহাসমাবেশ সফল করতে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। যে সব নেতা কর্মী এ কর্মসূচীতে অংশ নেবে খুলনা মহানগরের ৩১টি ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের নামের তালিকার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল  শনিবার মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপির কাছে এ তালিকা জমা দেয়া হবে।

ঢাকা চলো কর্মসূচি ও মহাসমাবেশে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বিকাল  থেকে বিভিন্ন পথে ৪দলীয় জোটের  সিংহভাগ কর্মী ঢাকার দিকে ছুটতে শুরু করেছে।  তারা আত্বীয় স্বজনের বাসাসহ নানা স্থানে অবস্থান নেবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যে সকল কর্মীদের আর্থিক সমর্থ রয়েছে তারা তাদের নিজের অর্থ দিয়েই এ কর্মসূচীতে যোগ দিচ্ছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতা কর্মীদের চারদলীয় জোট থেকে মাথা প্রতি এক হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। তবে এ অর্থ দিয়েই কর্মীদের সতর্ক করে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, সময় মত মহাসমাবেশে অংশ নিতে হবে।

দলের উধ্বর্তন নেতার এ নির্দেশ মেনে গতকাল বৃহসপতিবার বিকালে সিংহ ভাগ কর্মী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কর্মীরা প্রথমে খুলনা থেকে লোকাল গাড়ীতে মাওয়া পর্যন্ত যাবে। পরে সেখান থেকে আবারও লোকাল গাড়ীতে ঢাকা পৌছাবে। তবে কর্মীরা কোন লিফলেট,  ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল , ব্যানার বহন করবেনা।

এ দিকে ঢাকা চলো কর্মসূচি ও মহাসমাবেশ  খুলনা থেকে শত শত পেশাজীবী অংশ নেবেন । খুলনার চিকিৎসকদের একটি টিম ঢাকায় ৮টি পয়েন্টে স্থাপিত ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিলেট থেকে ফারুক আহমদ জানান, কর্মসূচিকে সফল করার জন্য সিলেটে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা থেকে প্রায় ১০হাজার লোক কর্মসূচিতে যোগদান করবে।  যতো বাধা বিপত্তি আসুক না কেন তা উপেক্ষা করেই যে কোন মূল্যে তারা সমাবেশে যোগ দিবে।

চট্টগ্রাম থেকে স্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, মহাসমাবেশে চট্টগ্রাম থেকে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর প্রায় ২লাখ কর্মী সমর্থক অংশ নেবেন। বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর ,উত্তর ও দক্ষিন জেলা থেকে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে ঢাকায় যাবেন এসব কর্মী সমর্থক। তবে বাধা আসলে তা মোকাবেলা করার জন্য এলাকায় কিছু কর্মী সমর্থক থাকবেন বলে জানান বিএনপির নেতারা। আর ঢাকায় যারা যাবেন তাদের অর্ধেক যাবেন নিজ উদ্যোগে আর অর্ধেক যাবেন সংগঠিত হয়ে।

গতকাল ৭ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। কয়েকটি দল  মহাসমাবেশের দুই দিন আগে ঢাকায় পৌছবেন, বাকীরা সমাবেশের একদিন আগে এবং সমাবেশের দিন ঢাকায় পৌছবেন।

চট্টগ্রামের মেয়র এম মঞ্জুর আলম মহাসমাবেশে অনুপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবী, বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত যুবকদের হাজার টাকায় ভাড়া করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

চট্টগ্রামের কর্মীরা ঢাকার কোন এলাকায় অবস্থান করবেন তা কৌশলগত কারণে তা না জানালেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  বেশ কয়েকজন নেতা জানান, নয়াপল্টনের আশে পাশের কোন এলাকায় মিলিত হয়ে মিছিল নিয়ে তারা সমাবেশ স্থলে যাবেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাবার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে কিছূ ট্রেনের বগি বুকিং দেয়া হয়েছে। অন্যরা যাবেন বাসে বা নিজস্ব উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে।

চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা থেকে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী সমর্থক যোগ দেবেন বলে জানান দক্ষিন জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সমাবেশের দুই দিন আগে থেকে খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত হয়ে এসব কর্মীসমর্থক ঢাকায় ঢুকবেন। কর্মসূচী সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশসহ বিভিন্ন  কর্মকান্ড চালছে।

রংপুর থেকে হাসান গোর্কি জানান, রংপুর জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক কম্যসূচী নেয়া হয়েছে।  বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এজন্য ৩০টি বাস ইতিমধ্যে বুকিং দেয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার ওই ৩০টি বাস যোগে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌছবেন। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জেলা থেকে অন্তত ৫ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মহাসমাবেশে লোকজন আসতে সরকার বাধা দিতে শুরু করেছে। হোটেল ভাড়া বন্ধ করে  দেয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে বাসও ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোটেল কক্ষ বিএনপি নেতাদের ভাড়া না দিতে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে বাসমালিকদের চাপ দিচ্ছে সরকারদলীয় নেতারা।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় সরকারকে বলে দিতে চাই, হোটেল ভাড়া না পেলে আমরা রাস্তায় থাকব। বাস-গাড়ি না পেলে মানুষজন হেঁটে ঢাকায় আসবে। একে কেউ রুখতে পারবে না।