বরিশাল প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বিরোধী দলের ডাকা চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসুচিকে ঘিরে বিএনপি-জামাত নেতা-কর্মীরা লুকোচুরি খেলা খেলছে বরিশাল পুলিশ প্রশাসনের সাথে । বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকা যাওয়ার বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট, বাস ও লঞ্চেঘাটে তলসী এসব কিছুকে ফাঁকি দিয়েই বরিশালের হাজার-হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করেছেন ২/৩দিন আগে।  কেউ আবাসিক হোটেল, কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ পরিচিত কারো বাসায়, আবার কেউবা জাতীয় নেতাদের বাসায় অবস্থান করছেন। লঞ্চ ও বাস চলাচল নিষিদ্ধ থাকার খবর পেয়ে বাকীরাও তরিঘরি করে গতকালই লঞ্চ ও বাস যোগে বরিশাল ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চ ভিড়তে দেয়া হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন লঞ্চে অবস্থান কারি নেতা-কর্মীরা। পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে ইদুর-বিড়ালের ন্যায় ঢাকায় পৌছেছেন তারা। কেন্দ্রের নির্দেশে সম্ভাব্য  গ্রেপ্তার, বাধা ও হামলা এড়াতে মহাসমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাসসহ কোনো গাড়িতেই বহন করা হয়নি ব্যানার, লিফলেট বা ফেস্টুন। বরিশাল বিএনপির বিভিন্ন জেলার স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার লোক ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে।

বরিশাল বিএনপি সদর আসনের সাংসদ এ্যাড মজিবুর রহমান সরোয়ার জানান, আওয়ামিলীগ সরকার দেশর বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারন জনগনকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দেশ তার গনতন্ত্র হারিয়েছে। আমরা দেখেছি ১৯৯৬ সালে আ’লীগ আমর্স ক্যাডার দিয়ে আওয়ামিলীগ বরিশাল বিএনপির অফিস ও ক্লাবগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এবার তারা পুলিশের সহায়তায় তার থেকেও ন্যাক্কার জনক আচরন করেছে লঞ্চ ও বাস যোগে আসা সাধারন যাত্রী সহ আমাদের নেতা-কর্মীদের। ঘাট শ্রমিক লীগ গতকাল বরিশাল থেকে আসা লঞ্চগুলোকে ঘাটে ভিড়তে দেয়নি। বরং তারা লঞ্চে গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী সহ সাধারন যাত্রীদের সাথে পশুর মত আচরন করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। কেবিন ভেঙ্গে আমাদের মুলাদি চেয়ারম্যান আব্দুছ ছাত্তারকে ঘাট শ্রমিকরা পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। দেশব্যপী সর্বস্তরের জনগনের জাগরন দেখে আ’লীগ সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের পতন অনিবার্য। তাছাড়া সাধারন মানুষ কি দোষ করেছে। তারা তাদের নানা মুখি কাজে ঢাকা আসবে যাবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক রোগীরা তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসছিল। তাদের অবস্থা কি একবার ভেবেছেন বলে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সরোয়ার বলেন এটাকি কোন স্বাধীন দেশ?

ও দিকে বরিশাল বিএনপির বিশ্বস্ত একটি সুত্র বলছে, তারা ঢোল বাজিয়ে ঢাকায় যাবেন না। তাদের মূল টার্গেট কর্মসূচি সফল করা; তাই তারা ১২ মার্চ সকালে ঢাকার নির্ধারিত একটি স্থানে জড়ো হয়ে ব্যানার সহকারে মিছিল নিয়ে তারা মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এসব ব্যানার ফেস্টুন ঢাকাতেই তৈরি হবে। এমনকি তারা নিজেদের স্ব-স্ব উদ্দেগে ঢাকায় খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে। এ জন্য দল তাদের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ দেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বরিশাল বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীরা।

জামাত ইসলামি বরিশাল মহানগরীরর আমীর এ্যড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল জানান, বরিশালের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে তাদের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই ঢাকায় পৌছেছেন। যে কোন মূল্যে তারা এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।