সাংসদ আউয়ালের মানহানি মামলায় তিন সাংবাদিককে সমন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ পিরোজপুরের সরকারদলীয় সাংসদ একেএমএ আউয়ালের মানহানির নালিশী মামলায় তিন সাংবাদিককে সমন দিয়েছেন হাকিম। সোমবার পিরোজপুর জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মো. মাহাবুবুর রহমান এই সমন দিয়েছেন। সমনপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের বরিশালের ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, পিরোজপর প্রতিনিধি শিরিনা আফরোজ ও সমকাল-এর পিরোজপর প্রতিনিধি ফসিউল ইসলাম বাচ্চু। আগামী ২৪ জানুয়ারী আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। তিনি সাংসদ আউয়ালের নালিশী অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ‘আসামী পরস্পর যোগযোগে সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে যাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাহারা আমার মান মর্যাদা ও জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করার জন্য ভূমিহীন সহ বিভিন্ন অপমান মূলক মানহানীর মিথ্যা সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া জঘন্যতম অপরাধের কার্য করিয়াছে। তাহাতে আমার ২ কোটি টাকার মানহানী হইয়াছে।’ হাকিম এই নালিশী অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ মার্চ শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করেছেন। ওই দিন মামলার বিবাদী তিনজনকে স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারীর আদেশ দিয়েছেন।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ একেএমএ আউয়াল সোমবার স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে নালিশী অভিযোগ দায়ের করলেও তিনি ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

নালিশী অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ ডা. আনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবিদের সমিতির ও আওয়ামী-যুবলীগের নয় জনকে স্বাক্ষী মেনেছেন। তিন বিবাদীর এক সাংবাদিক ফসিউল ইসলাম বাচ্চু সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ৫৩তম স্বাক্ষী। কালের কণ্ঠে ৯ মার্চ চতুর্থ পৃষ্ঠায় ‘ভুমিহীন এমপি’ এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে; শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সমকালে ৯ ও ১০ মার্চ ‘নাজিরপুর হেলিকপ্টারে এসে হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন এমপি আউয়াল’ ও ‘নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের জনসভায় নেতারা; আউয়াল ও আনোয়ার দুর্নীতিবাজ টেন্ডারবাজ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।