মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া – ২৯ মার্চ সকাল সন্ধা হরতাল – ১০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধা হরতাল। এপ্রিল মাস জুড়ে বিভিন্ন জেলাগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। মে মাসে ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্ণবহালের জন্য সরকারকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া১০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল এনে তা বহাল না করলে আগামী ১১ জুন সোমবার পুণরায় ঢাকায় সমাবেশ ডেকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ৪দলীয় জোট সম্প্রসারনেরও ঘোষণা দিয়ে আগামীতে ক্ষমতায় এলে কি কি কাজ করবেন তার একটি ইস্তেহার ও পাঠ করেন।

আজ সোমবার বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ৪ দলীয় জোট ও সমমনা দলের চল চল ঢাকা চলো কর্মসূচির মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে এ মহাসমাবেশে ৪ দলীয় জোট ও সমমনা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, মহাসচিব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।

১ ঘন্টা ২৫ মিনিট ব্যাপি বক্তব্যের শুরুতেই খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে জনতার ঢল দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। তারা ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। মঞ্চ বানানোর জন্য সময় মতো পারমিশন দেয়নি, মাইক দিয়েছে কয়েকটি। এ থেকেই বোঝা যায় সরকার কতোটা আতঙ্কে রয়েছে। তারপরও জনশ্রোত ঠেকাতে পারেনি। সরকারকে অন্ধ, বধির আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই বিধায় তারা মহাসমাবেশ করতে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বন্ধ করে দেয়ার অধিকার সরকারের নেই।

তিনি বলেন, যদি সব যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতো তবে ঢাকা শহর একটা জন সমুদ্রে পরিনত হতো। সরকার জনআতঙ্কে ভুগছে এ মন্তব্য করে বলেন, এই জনসমাবেশ থেকে সরকারকে বিদায় করবো। কতবার জনসমাবেশ আপনার ঠেকাবেন। প্রয়োজনে বারবার জনগণকে ডাকবো। তারা আসবে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবো।

তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জ্বালাও পোড়াও, লগি,বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যায় বিশ্বাস করিনা। একটার বদলে ১০টা লাশ, গাণ পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা, লাশের উপর উঠে নাচানাচি সে রাজনীতি বিএনপি বিশ্বাস করেনা।

আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বিধায় তারা বাকশাল কায়েম করেছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে বলে দিতে চাই, জনগণ গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা বাকশাল মেনে নেবেনা। সরকার বিদেশী হায়নাদের মতো ব্যবহার করছে এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, হামলা মামলা ও জেলখানায় বন্ধি করে ক্ষমতায় থাকা যায়না।

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা
খালেদা জিয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবেনা। হতে দেয়া হবে না। নতুন জোটের পক্ষ থেকে বলছি, আগামী ১০ জুনের মধ্যে তত্ত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপন না করা হলে ১১ জুন জোটের পক্ষ থেকে ঢাকায় সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সীমান্ত হত্যার সমালোচনা
খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই। বিএসএফ আমাদের সীমান্তের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে। আমাদের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরকার প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি।

কোথায় চুক্তি, কোথায় চুক্তির পানি?
ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে দেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির কথা বলা হয়েছিল, কোথায় চুক্তি কোথায় চুক্তির পানি? তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু একতরফা দিয়ে যাব, বিনিময়ে কিছুই পাব না, সেটা হবে গোলামি। এই সরকার গোলামির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। এই দুর্বল-নতজানু সরকারকে বিদায় করতে হবে।

নানা প্রতিশ্রুতি
১ কোটি গরিব মানুষকে রেশন ব্যবস্থায় আনা হবে
বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, তা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের হাতে আরো ক্ষমতা দেব। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে ১ কোটি গরিব মানুষকে রেশন ব্যবস্থায় আনা হবে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। মুসলি দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।

নতুন কলকারখানা চালু এবং বন্ধগুলো চালু করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, কীভাবে দেব, সেই টেকনিক আমাদের আছে, এখন বলব না। সময় হলেই বলব। যুবকদের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে তা পূরণের বিষয়েও একই কথা বলেন তিনি।

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানো সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ে আজ জীবন অতিষ্ঠ। অথচ কুইক  রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে দলীয় লোকজন ও আত্মীয় স্বজনদের লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ দিতে নয়, লুটপাটের জন্যই এই কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ বিনা দরপত্রে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সমালোচনাও করেন তিনি।

পুঁজিবাজারের অর্থ লুটপাট হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন,  শেয়ার মার্কেটে এতবড় লুট হয়ে গেল, তাদের কারো বিচার হয়নি, বরং তাদের আরো অধিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বললেন, যারা লুট করেছে, তারা এত ক্ষমতাবান, তাদের নাম প্রকাশ করার ক্ষমতা তার নেই। তাহলে বুঝতে বাকি থাকে না, এই ক্ষমতাবান ব্যক্তি কারা। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন যারা জড়িত, তাদের জনগণ চিনে ফেলেছে।

অর্থনীতিতে সঙ্কট চলছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা ১০ টাকা কেজিতে চাল দিতে পারেনি, কৃষকদের বিনামূল্যে সার দিতে পারেনি, শুধু তাই নয়, প্রতিটি কৃষি উপকরণের দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে।

সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে দাবি করে তিনি বলেন, সত্য খবর দেয় বলে গণমাধ্যমকে ভয় পায় সরকার। এ সরকারের আমলে ১৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সবশেষ খুন হয়েছে সাগর-রুনি। এই হত্যাকান্ডের কোনো বিচার-টিচার আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব নিয়ে এখন বলছেন, আলামত মুছে গেছে। আলামত মুছে ফেলে এখন বলেন, মুছে গেছে! সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে তাতে বিএনপির সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির এই মহাসমাবেশ লাইভ টেলিকাস্ট করতে চেয়েছিল এনটিভি, ইটিভি ও বাংলাভিশন। কিন্তু তাদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেয়া হয়েছে।

বিচার বিভাগ দলীয় করণের অভিযোগ
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ আজ সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। অনেক বিচারক চাইলেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এই জন্য ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন, দেশে আজ মুখ দেখে রায় দেয়া হয়। এখন আওয়ামী লীগের জন্য এক বিচার, অন্যদের জন্য আরেক বিচার।

সরকারি কর্মকর্তাদের জনরোষের হুমকি
দেশে একদলীয় শাসন চলছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন বাকশাল চলছে। গণতন্ত্র এখন বন্দি, এক জনের শাসন চলছে। এই গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা মুখ খুলুন, নইলে পরে জনরোষে পড়বেন। জনগণের হাতে লাঞ্ছিত হবেন।
আমাদের বিদেশী টাকার প্রয়োজন হয়না।

আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নির্বাচন করার সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের বিদেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। আমাদের জনগণ রয়েছে। উল্টো আওয়ামী লীগই বিদেশি অর্থে নির্বাচন করেছিল বলে দাবি করেন তিনি।

মহাসমাবেশে পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে দাবি করে বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তাই তাদের এত ভয়। সরকার এখন আতঙ্কে ভুগছে। তাদের ভয় এখন জনগণকে। এতই যদি ভাল কাজ করেন, উন্নয়ন করেন, তবে কেন এত ভয়? মহাসমাবেশের আগে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তরীণ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

সরকার জনগণের সরকার নয়, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব দিয়ে বিএনপির খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের ভোটেই আমরা বারবার ক্ষমতায় আসব। তাহলে কি স্বীকার করছেন, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন আপনাকে ওভাবে ক্ষমতায় বসিয়েছে?

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনাকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। এর জবাবেই খালেদা জিয়া আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই কথার জবাব দিয়ে পরিবেশ দূষিত করতে চাই না। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার
রাস্তায় খুন হলে দায়িত কে নেবে?

খালেদা জিয়া বলেন, বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। তাহলে রাস্তা যে সৌদি কূটনীতিক খুন হলেন, তার দায়িত্ব কে নেবে? তিনি হত্যা বন্ধ করতে হলে নিজেদের দলের অস্ত্রবাজদের আগে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে পরামর্শ দেন।

বিডিয়ার ধ্বংসের অভিযোগ
বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরকে (বর্তমান বিজিবি) ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি ক্ষমতায় এলে বিডিআরকে শক্তিশালী করব। এরপর দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বলেন, এই দেখেন পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, এখন বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানো হয় বিএসএফর ভয় দেখিয়ে।

অর্থনীতিতে সঙ্কট চলছে দাবি করে বলেন, তারা (সরকার) ১০ টাকা কেজিতে চাল দিতে পারেনি, কৃষকদের বিনামূল্যে সার দিতে পারেনি, শুধু তাই নয়, প্রতিটি কৃষি উপকরণের দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে।

আয়নায় নিজের মুখ দেখুন    
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদসহ বিভিন্ন জায়গায় যা বলেন, তার বক্তব্যের ভাষা রুচিশীল দায়িত্বশীল মানুষের ভাষা হতে পারে না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো বিবেক থাকলে দয়া করে আয়নায় নিজের মুখ দেখবেন। এরপর থেকে এমন কিছু বলবেন না, যা শুনে মানুষ লজ্জা পায়। প্রধানমন্ত্রীর পদের একটি মহিমা আছে, তা নষ্ট করবেন না।

কর্মসূচি সমুহ
হরতাল
মহাসমাবেশ উপলক্ষে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী ২৯ মার্চ সারাদেশে সকাল-সন্ধা হরতাল ঘোষণা করেছেন।

আলটিমেটাম
জাতীয় সংসদে বিল এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তনের জন্য আগামী ১০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ১১ জুন সোমবার ঢাকায় আবার সমাবেশ ডেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ মিছিল জেলায় জেলায় জনসভা
দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দফায় দফায় মুল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও জেলায় জেলায় জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমি জেলা শহরগুলোতে যাবো।

ঘেরাও কর্মসূচি
সারসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মে মাসে উপজেলা ও জেলায় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, এসব কমসূচির তারিখ পরবর্তিতে জানিয়ে দেয়া হবে।

-ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম