যৌতুক লোভি শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা

গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ যৌতুক লোভি শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে বুধবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাগিশেরপাড় গ্রামের গৃহবধু সালমা আক্তার(১৯) বিষ পানে আত্মহত্যার  চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  ওই গৃহবধু এখন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সালমার স্বজনরা জানায়, ওই গ্রামের আজগর বেপারীর পুত্র জুলহাস বেপারীর প্রেমে পড়ে পার্শ্ববর্তী গাইনেরপাড় গ্রামের ইসলাম সরদারের কন্যা সালমা আক্তার  গত এক বছর পুর্বে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। উভয় পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুজে বের করে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় বর জুলহাসকে নগদ ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দেয় কনের বাবা। বিয়ের ৬ মাস যেতে না যেতেই স্বামী জুলহাস. শাশুরি, ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনে সালমার বাবা ইসলাম সরদারের কাছে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। শ্বশুর ইসলাম সরদার যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী জুলহাসসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌকুকের ওই এক লাথ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য সালমার উপর চাপ প্রয়োগ করে। সালমা টাকা এনে দিতে ব্যর্থ হলে স্বামী, শাশুড়ী, ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনে  বিভিন্ন অজুহাতে সালমার উপর নির্যাতন শুরু করে। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের  নির্যাতন সইতে না পেরে সালমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে ৬ মাস কাটানোর পর সম্প্রতি গ্রাম্য এক শালিশ বৈঠকে আর যৌতুক না চাওয়ার মুচলেকা দিয়ে সালমাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবার যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুরি, ননদসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনে সালমার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে বুধবার  রাতে সবার চোখের আড়ালে সালমা বিষ পান করে। মুমুর্ষ অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা) সালমা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল। তার স্বজনদের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গৌরনদী থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।