বানারীপাড়ার ইন্দেরহাওলা গ্রামে ডাকাতের চোখ উৎপাটন করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বানারীপাড়া উপজেলার ইন্দেরহাওলা গ্রামে ডাকাতি করে পালানোর সময় গ্রামবাসী এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে দু’চোখ উৎপাটন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। ডাকাতের হামলায় গৃহকর্তার স্ত্রী ও কন্যা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল হক জানান, ইন্দেরহাওলা গ্রামের মোক্তার আলী হাওলাদারের বসত ঘরের জানালা ভেঙ্গে বুধবার গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়। এসময় গৃহের লোকজনে ডাকচিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা গৃহকর্তার স্ত্রী চন্দ্রবান বেগম ও কন্যা মারুফা আক্তারকে কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে গৃহকর্তা মোক্তার আলী ও তার পুত্র লিটন এক ডাকাতকে ঝাঁপটে ধরে স্বজোরে ডাকচিৎকার শুরু করে। তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গৃহকর্তা ও তার পুত্রের ঝাঁপটে ধরা এক ডাকাতকে এলাকাবাসি বেঁধে গণধোলাই দেয়। গণধোলাইর একপর্যায়ে এলাকাবাসি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আটক ডাকাতের দু’চোখ উৎপাটন করে দেয়। ওসি আরো জানান, আটকের পর গণধোলাই দিয়ে চোখ উৎপাটন করা ডাকাত হচ্ছে একই গ্রামের মৃত হোসেন হাওলাদারের পুত্র শহীদ হাওলাদার (৪০) ওরফে ডাকাত শহীদ। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশ ডাকাত শহীদকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ও পরে ওইদিন দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ডাকাতদের হামলায় গুরুতর আহত চন্দ্রবান বেগম ও তার কন্যা মারুফা আক্তারকে বানারীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার উদয়কাঠী গ্রামের একটি ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত শহীদ উচ্চ আদালত থেকে অতিসম্প্রতি জামিনে বের হয়। বুধবার গভীর রাতের ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত শহীদসহ তার সহযোগীদের আসামি করে গৃহকর্তা মোক্তার আলী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।