সালিশ বৈঠকের আগেই বখাটেদের গণধোলাই – মাহিলাড়া কলেজের চার ছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্লীলতাহানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের চার ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ যুবকেরা দু’বখাটেকে গণধোলাই দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কচুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে।

জানা গেছে, মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী কচুয়া গ্রামের খালেক হাওলাদারের কন্যা স্বপ্না খানম, একই গ্রামের রুহুল আমীন হাওলাদারের কন্যা আখি খানম, পাশ্ববর্তী যুগীরকাঠী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী সরদারের কন্যা নারগিস খানম, ওই গ্রামের কালাম হাওলাদারের কন্যা লিজা খানম বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) কলেজ ছুটির পর একসাথে দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে বাটাজোর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষনকাঠী গ্রামের নির্জন এলাকায় পৌঁছলে ওই চার ছাত্রীকে স্থানীয় নিকেন ফকিরের বখাটে পুত্র বাচ্চু ফকির (২৫), খালেক বালীর বখাটে পুত্র কুদ্দুস বালী (২৮) ও অজ্ঞাতনামা তাদের আরো দু’সহযোগী ওই চার ছাত্রীর পথরোধ করে। একপর্যায়ে বখাটেরা ধর্ষণের উদ্দেশ্যে চার ছাত্রীকে টানা হেচরা শুরু করে। এসময় কলেজ ছাত্রীরা ডাকচিৎকার শুরু করলে বখাটেরা তাদের শ্লীলতাহানি করে।

স্থানীয় আরিফ বিল্লাহ নামের এক যুবক জানান, কলেজ ছাত্রীদের ডাকচিৎকার শুনে তিনিসহ আরো কয়েকজন যুবক এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান বখাটেরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিসহ কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কলেজ ছাত্রীদের তারা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

লক্ষনকাঠী গ্রামের সমাজ সেবক আব্দুল বারেক ফকির ও মোঃ বাদশা মিয়া জানান, বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তারা ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বাচ্চু ও কুদ্দুস বালীকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের স্থানে পৌঁছামাত্রই কচুয়া গ্রামের বিক্ষুব্ধ যুবকেরা হামলা চালিয়ে বাচ্চু ও কুদ্দুসকে গুরুতর আহত করে আটক করে রাখে। এ ঘটনার পর সালিশ বৈঠকের আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা) কচুয়া এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।