বরিশাল সংবাদদাতা ॥ দক্ষিনাঞ্চলের নৌরুটে পাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠছে। প্রায়ই কোস্টগার্ডের অভিযানে দক্ষিনের বিভিন্ন নদী থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে ভারতীয় পন্য। অবশ্য এই পাচারকারী চক্র প্রতিরোধে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড। পাচার সিন্ডিকেট বলেশ্বর ও বিষখালী নদী পথে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় থ্রিপিস,প্যান্ট পিস, বোরকার কাপড়, শাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পন্য চক্রটি বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। পাচার করার রুট হিসাবে চক্রটি সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরেরর আলোর কোল, ভান্ডারদিয়া ও বিষখালী নদী ব্যবহার করছে। চক্রটির সঙ্গে জড়িতদের একটি তালিকা তৈরি করেছে পাথরঘাটা পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর গোপন খবরের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে এফবি জয় নামক ট্রলার আটক করে। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ভারতীয় প্রায় ৮ কোটি টাকার পন্য। অভিযান পরিচালকালনাকালে ট্রলারের লোকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয। এ ঘটনায় ২৮ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের এক বিশেষ অনুসন্ধানে চোরকারবারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে।
সমুদ্র পথে চোরকারবারের হোতা হিসাবে চিহ্নিত করা হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত: আব্দুল মজিদ হাওলাদারের পুত্র মো: নজরুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জের নলুয়ার কালাচান দাসের ছেলে জয়দেব দাস, ফরিদপুরের নগরকান্দার মৃত: শুক্কুর মোল্লার পুত্র ফরিদ মোল্লা, রাজধানীর ডেমরা থানার হাজী আব্দুল সালাম, রাজধানীর বঙ্গবাজারের আব্দুস সাত্তার, নোয়াখালীর মাইজাদি এলাকার চন্দন বাবু,রাজধানীর কামরঙ্গীচরের পূর্ব রসুলপুরের হাজী আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু হাজি, বঙ্গবাজারের মো: ইদ্রিস খান।
এছাড়া চোরকারবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, বঙ্গবাজারের মো: বাবুল, পাথরঘাটার তাফালবাড়ি এলাকার মৃত: আতাহার আকন্দ’র পুত্র হানিফ আকন্দ,পাথরঘাটার ৮ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জামাল হাওলাদার। পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাশেম আলী সিকদারের ছেলে ইসমাইল সিকদার।