কীর্তনখোলা নদীর রাক্ষুসী থাবায় বিলীন হয়ে গেছে বেলতলা ফেরিঘাট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর রাক্ষুসী থাবায় বিলীন হয়ে গেছে নগরীর বেলতলা ফেরিঘাট। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে এখানকার ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজার পূর্বে ফেরি ঘাটটি সচল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে বেলতলা-চরমোনাই-বুখাইনগর-টুঙ্গিবাড়িয়া রুটের যাত্রীদের সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

কীর্তনখোলা নদীর রাক্ষুসী থাবায় বিলীন হয়ে গেছে বেলতলা ফেরিঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু বেলতলা ফেরিঘাটই নয়, বরিশাল-ভোলা রুটের দু’টি ফেরির মধ্যে একটি ফেরি দীর্ঘদিন থেকে বিকল রয়েছে। ঈদের পূর্বে ওই বিকল ফেরিটি সচল করার জন্য বিআইডব্লিউটিসি জরুরি ভাবে মেরামতের কাজ শুরু করেছে। কিন্ত নতুন নির্মাণ করা এ ফেরি দু’টির বিদেশ থেকে আমদানি করা ইঞ্জিনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না যাত্রী ও ফেরি চালকেরা। কখন কোথায় বিকল হয়ে বা জোয়ার-ভাটায় চরে আটকা পড়ে তা নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও জেলার অধিকাংশ ফেরিঘাট সংস্কারের অভাবে এখন বিড়ম্বনার রূপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শামস্ মোকাদ্দেস জানান, বেলতলা ফেরিঘাটটি পুনঃস্থাপনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া কাজ করলে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার আশংকায়ই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাতটি ফেরিঘাট নিয়ে তাদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় প্রায়ই যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর পাশ্ববর্তী বেলতলা ফেরিঘাট বিলীন হওয়ার পর ঈদ উপলক্ষেও কেন জরুরি মেরামত করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গনে বেলতলা ফেরিঘাটটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। এখন সেখানে নতুন ফেরিঘাট স্থাপনে ঠিকাদার নিয়োগের কোন বিকল্প নেই।

ফেরিঘাটের ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহাতাবউদ্দিন বলেন, শুধু বেলতলা নয়, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গনের কবলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চরমোনাই পীরসাহেবের দরবার শরীফ। এছাড়া নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বেলতলা, চরবাড়িয়া, চরকাউয়াসহ চরমোনাইর বেশ কয়েকটি এলাকা।  তিনি আরো বলেন, চরকাউয়া ফেরিঘাটটি সচল রাখতে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ লক্ষ টাকার কাজ করছে। ওই ফেরিঘাটসহ চরকাউয়া রক্ষা প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে সোয়া কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তার কোন সাড়া মেলেনি। ফলে আসন্ন ঈদ ও পুজায় বরিশালের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না।