ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিমানে চাকুরি করণসহ ভাইদের বিভিন্ন জাল জালিয়াতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতারিত এক এ্যাডভোভোকেটের সংবাদ সম্মেলন

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিমানের চাকুরি বৃদ্দি করণ, ভাইদের বিভিন্ন জাল জালিয়াতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতারিত এক এ্যাডভোভোকেটের সংবাদ সন্মেলন।

এইসএসসি পাশ করে বিএ পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি করে অবসরে যাবার পর আবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে দু’বছর চাকুরির মেয়াদ বাড়িয়ে বহাল তবিয়তে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা অফিসে যোগাযোগ শাখার ম্যানেজার পদে চাকুরি করেছেন কবির উদ্দিন হায়দার। ছেলে মেয়েকে বিদেশে পড়ানো, মামা শাহজাহান তালুকদারের রেকর্ডিও জমি কবির হায়দারের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের নামে নিয়ে ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা, জালিয়াতির মাধ্যমে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় অন্যকে মামা সাজিয়ে বিক্রি করা, ৪০ লাখ টাকায় ঢাকার উত্তরায় ফ্লাট বাড়ির মালিক হওয়া, সেনা বাহিনীতে চাকুরি দেয়ার নামে চাচাতোভাই রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, সহ অবৈধভাবে বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন এই কবির। শুধু নিজেই অবৈধকাজ করে ক্ষান্ত হননি তিনি। সহযোগি হিসেবে সাথে নিয়েছেন অপর দুই ভাই জসিম উদ্দিন পান্নু ও নাসিম উদ্দিন স্বপনকে। তিন ভাই মিলে চরমভাবে প্রতারিত করাসহ চরম প্রবঞ্চনার শিকার হয়েছেন ছোট ভাই ও বোন।  ভাইদের অত্যাচারে গত ১২ বছর বাবার বাড়ি আসতে পারেনি একমাত্র বোন সালমা আক্তার আলো। সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাকে।

চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য দিয়ে আপন বড় ভাই সহ অপরাপর তিন সহদরের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন করেছেন বরিশাল বার এসোসিয়েশনের সদস্য দাবিদার এ্যাডভোকেট শাহিন উদ্দিন মিয়া। শনিবার সকালে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে উপজেলার রাজিহার গ্রামের মৃত আদেল উদ্দিন মিয়া (ফকির)এর ছোট ছেলে এ্যাডভোকেট শাহিন লিখিতভাবে জানান, তার সাথে পাল্লা দিয়ে পান্নু ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষা বর্ষে ডিগ্রীর নকল সার্টিফিকেট দিয়ে বরিশাল ল’কলেজে ভর্তি হয়। যার রোল নং-১৩৫। প্রকৌশল বিভাগে কোন পড়া লেখা না করে নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে আসছে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলেল যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিম উদ্দিন স্বপন। স্বপস আপন চাচাতোভাই মিজানকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ায় আজ মিজান নিশ্ব। নিজেদের বিশেষ বিশেষনে ভুষিত করে দির্ঘ কয়েক বছর অবৈধভাবে ইট ভাটার ব্যাবসা চালিয়েছিল স্বপন ও জসিম। তার বাড়ির সামনে বাবা আদেল উদ্দিন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত রাজিহার নুরানী মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন সময় টিআর-কাবিখা, নগদ অর্থসহ সরকারী বরাদ্দ উঠিয়ে মাদ্রাসার কোন সংস্কার কাজ না করে আত্মসাৎ করে আসছে জসিম ও স্বপন। এতে সহায়তা করে আসছে ওই মসজিদের অশিক্ষিত (হুজুর দাবিদার) ক্বারী আব্দুল আজিজ। মাদ্রাসায় ক্যাপিটেশন প্রাপ্তর পরেও ৭ জন ছাত্রের বিপরিতে ৪৫ জন এতিম দেখিয়ে সরকারী ও বেসরকারি দান অনুদান আত্মসাৎ করে আসছে। শাহিন লিখিত অভিযোগে আরও জানান, ভাইরা তাকে এলাকায় পাগল বলে অপপ্রচার করে অপর ৩ ভাই তাকে ও তার বোনকে পৈত্তিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে তাদের নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। অথচ গত ইউপি নির্বাচনে শাহিনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় স্বপন ও জসিম প্রায় ৮ লাখ টাকা ধার নেয়। সেই টাকা ফেরত চাইলে তাকে ভাইয়েরা বাড়ী ভিটে ছাড়া করার কৌশলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নানা মুখি ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শাহিন ভাইদের হাত থেকে রেহাই পেতে ২০০৬ সালের ১৮ সেপ্টম্বর আগৈলঝাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরিকরে।

এছাড়াও বরিশাল আদালতে ৬৩/১২ একটি মামলা করেছে। বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে প্রমান সংম্বলিত কাগজপত্র দুর্ণীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে বলে শাহিন জানান। বঞ্চিত এ্যাডভোকেট শাহিন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার স্ত্রী ও শিশু কন্যার জীবন নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে সুবিচার দাবী করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবিন ব্যক্তি সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই ওয়াজেদ আলী হাওলাদার।