স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগৈলঝাড়ায় মা ছেলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য প্রসাশন ও এলাকাবাসির সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে শাহিন উদ্দিন মিয়াকে কু-সন্তান আখ্যায়িত করে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচার জন্য অসুস্থ মা নুরজাহান বেগম তার আকুতিতে বলেন, ‘‘আমি মা হয়ে দেশের সর্বসাধারণ, সরকারি-বেসরকারি প্রসাশনের সকল কর্মকর্তাসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবসির কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, আমার এই কু-সন্তান ছোট ছেলে শাহিনের হাত থেকে আমাকে এবং আমার অপর সন্তানদের বাঁচান।”
এমনই আকুতি জানিয়ে সোমবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার গ্রামের মৃত আদেল উদ্দিন মিয়ার স্ত্রী সত্তোরার্ধ অসুস্থ নুরজাহান বেগম গর্ভজাত ছোট ছেলে শাহিনের বিভিন্ন অপকর্ম ও জাল জালিয়াতির ফিরিস্তি তুলে লিখিত বক্তব্যে দেন।
লিখিত বক্তব্যে জানান, শাহিন ২০০২ সালের ১৩ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর গোপনীয় প্রেস সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর জাল করে পরিচয়পত্র বহনকালে বরিশালে গ্রেপ্তার হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, বরিশাল বার কাউন্সিলের সাবেক সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে গ্রামের একটি ক্লাবের পক্ষে ভাইদের বিরুদ্ধে আবেদন করে ধরা পরে।
শাহিন বরিশাল পুলিশ সুপারের কাছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। শাহীন বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র জালিয়াতি করে আসছে।
বিএনপির গত ক্ষমতামলে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর করার অপরাধে হাজত খাটে। রাজিহার স্কুলের এক শিক্ষককে মারধরের অপরাধে জরিমানা দেয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার কারণে তার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্নর পাশাপাশি বিপুল পরিমান অর্থের অপচয় হয়েছে।
১৯৯১ সালে শাহিনের বাবা মারা যাবার পর আমি অন্য ছেলেদের বঞ্চিত করে তার রেখে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা গোপনে তাকে দেই। এরপরও সর্বশেষ আলমিরা থেকে শেষ সম্বল যা ছিল তাও চুরি করে নিয়ে যায়। এলাকলাকার কোন লোক মারা গেলে শাহিন সেখানে উপস্থিত হয়ে বলে তার কাছে টাকা পাব। এভাবে সে নিজের আপন চাচা লালচান ফকির ও স্থানীয় মজিদ চৌকিদারের পরিবারের কাছ থেকে ভুয়া পাওনা টাকা আদায় করেছে। বিভিন্নস্থানে সে সাংবাদিকের ভূয়া পরিচয় দেয়।
শাহিন একজন মিথ্যাবাদী, সুদখোর, চরিত্রহীন ও মাদকাসক্ত। তার কর্মকান্ডের কারণে এলাকার কোন লোক বাড়ি পর্যন্ত আসতে পারেনা। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, এমন কুসন্তান যেন কোন মা পেটে না ধরে না।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপর ছেলে জসীম উদ্দিন পান্নু, পুত্রবধূ আফিয়া আক্তার শীলা, বোন ফিরোজা বেগম, দেবর আলহাজ্ব হোসেন ফকির, জা নুরজাহান বেগম, দেবরের ছেলে মোখলেস ফকির, হারুন ফকির, আ. রহিম ফকির, শাহআলম ফকির, স্থানীয় ওয়াজেদ সরদার, ডা. রমেন দাস, ক্বারী আ. আজিজ, পরান ফকির, কামরুল ফকির, সিদ্দিক মোল্লাসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
অভিযোগের ব্যাপারে শাহিন উদ্দিন মিয়ার সাখে মুঠো ফোনে বলেন, আমার পিতার ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার লক্ষে আমার ভাইয়েরা ও বোন আমার মাকে ব্যবহার করছেন।