বরিশালের টিপু লঞ্চের দু’কেরানী রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ – স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চ এমভি টিপু-৭ থেকে পরপর দু’জন কেরানী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় লঞ্চের অন্যান্য স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় টিপু লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সোমবার ভোর রাতে লঞ্চটি কীর্তনখোলা নদীর বেলতলা এলাকায় আসলে কেরানী রাসেল মৃধাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সোমবার সকালে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ডায়েরীটি দায়ের করেন এমভি টিপু লঞ্চের সুপারভাইজার আবু খালেদ রেজা। তিনি এতে উল্লেখ্য করেন, কেরানী রাসেল মৃধা লঞ্চ থেকে পা পিছলে পড়ে গেছে। লঞ্চের অন্যান্য স্টাফদের দাবি, রাসেল লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে থাকলে কেন লঞ্চ থামিয়ে তাকে খোঁজ করা হয়নি। এঘটনার তিনদিন পরেও রাসেলের কোন খোঁজ মেলেনি। সূত্রটি দাবি করেছেন, রাসেলকে কেউ গুম করে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রয়েছে। নদীতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তিনদিনেও লাশ উদ্ধার না হওয়ায় তাদের মধ্যেও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। একইদিন (সোমবার) লঞ্চের আরের কেরানী অলি আহম্মেদ নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন সুপারভাইজার রেজা। লঞ্চের সুপারভাইজার আবু খালেক রেজা বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও নিখোঁজ অলি আহম্মেদকে না পাওয়ায় থানায় জিডি করা হয়েছে। পর পর এ দুটি নিখোঁজের ঘটনায় লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে এম.ভি টিপু-৭ লঞ্চের মালিক গোলাম কিবরিয়া টিপু-এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেরানীদের কাছে টিকিট বিক্রির টাকা থাকে, তাই টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যেতে পারে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।