আগৈলঝাড়ার ভোকেশনাল স্কুল পরিচালকের সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ আগৈলঝাড়ায় ‘‘ঈদের দিনে ক্লাস’’ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সত্য নয় দাবি করে গত ১০ নবেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ অক্টোবর আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের আওতায় ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে (ভিটিসি) ঈদুল আযহার দিনে সরকারী বন্ধ থাকার পরেও ক্লাস নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ নবেম্বর দুপুরে সংস্থার ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জেমস্ মৃদুল হালদার, মনিটরিং অফিসার খান মোঃ রোস্তম আলী, ভিটিসি‘র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অতুল চন্দ্র বালা, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কমল আইচ, সহকারী শিক্ষক নিত্যানন্দ, রনজীত বৈদ্য, সহকারী ইন্সট্রাক্টর সাইদুর রহমান, মি. পুলক প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জেমস্ মৃদুল হালদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি উ্েল্লখ করেন, সরকারী নীতিমালার আওতায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সংস্থা তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ট্রেনিং সেন্টার ও অন্যান্য শাখায় মুসলিম কর্মকর্তা, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই তিন দিনের নির্ধারিত ছুটির সাথে বর্ধিত ছুটি নিয়ে ঈদ উদযাপনে নিজ নিজ বাড়ি চলে যান। ওই সময় নবম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষা নিকটে থাকায় পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত অমুসলিম শিক্ষক ও শিক্ষর্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছিল। তবে সেদিন কোন প্রকার ক্লাস হয়নি।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সংস্থার সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা হয়ে আসছে। সংস্থার শুরু থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী-রাষ্টীয় পরিপন্থী কোন কার্যক্রমের সাথে কখনই সম্পৃক্ত হয়নি। দীর্ঘদিনের শ্রম, সততা, নিষ্ঠা ও সকলের সার্বিক সহযোগীতা নিয়ে সুনামের সাথে এ পর্যন্ত সংস্থার কার্যক্রম চলে আসছে। সংস্থার মূল লক্ষ্য সমাজের অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করা। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে অনিচ্ছকৃত কিঞ্চিতত্রুটি বিচ্চুতি হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন সময় নানা ধরণের কুৎসা রটিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তিনি এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।