গৌরনদীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধান চাষ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক মাঠ দিবস

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ গৌরনদী উপজেলার কালনা গ্রামে “উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধান চাষ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার” শীর্ষক একটি মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। ইউএসএইড এর আর্থিক সহায়তায় একাধারে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা অন্যদিকে প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট (ইরি)  প্রান্তিক, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কৃষক-কৃষাণীদের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে “সিরিয়াল সিস্টেমস্ ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া (সিসা)-বাংলাদেশ” প্রকল্পটি বিগত দুই বছর যাবৎ বাংলাদেশের ছয়টি হাবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে পরিচালনা করছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ( বিডিএস) সহযোগিতায় “উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধান চাষ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার” শীর্ষক একটি মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। গৌরনদী বিডিএস এর ফিল্ড ফ্যাসিলেটর মো. শামিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রপিং সিস্টেমস্ এগ্রোনোমিস্ট সিসা- ইরি অফিসার ও ধান গবেষক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট সিসা-ইরি বরিশাল হাব আঞ্চলিক অফিসার দেব কুমার নাথ, সাংবাদিক মনীষ চন্দ্র বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন অনুপ বৈরাগী ,কৃষক জালাল সরদার, রশিদ সরদার প্রমূখ। এছাড়া মাঠ দিবস উপলক্ষে কালনা ও দিয়াশুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক-কৃষাণীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। কৃষক জালাল উদ্দিন, সোহরাফ হোসেন জানান, গ্রামে এবার সিসা-ইরি প্রজেক্টের মাধ্যমে আমন মৌসুমের উপযোগী এবং উচ্চফলনশীল জাত  ব্রি ধান ৪৯ এর প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। কৃষক পর্যায়ে বীজধান উৎপাদনের জন্য-গুনমান সম্পন্ন বীজধান উৎপাদন প্রদর্শনী, উচ্চফলনশীল জাতের প্রদর্শনী এবং সার্বিকভাবে ভাল ফলন পাবার জন্য ক্লাস্টারিং প্রযুুক্তির ব্যবহার ভিত্তিক প্রদর্শনী সকলের মুখে মুখে আলোচিত হয়। অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীকৃত জাত ব্রি ধান ৪৯ জাতের ধানের ফসল কর্তন ও মাড়াই শেষে ফলন যাচাই এবং কৃষকদের সাথে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করা হয়। ব্রি ধান ৪৯ ধানের গড় ফলন ৬ টন পাওয়া যায়। কৃষকরা জানান, কালনাসহ পার্শ্ববতী গ্রামে আমন মৌসুমে কোন উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হয় না বললেই চলে। সেখানে  ব্রি ধান ৪৯ কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। নানা কারণে কৃষক অন্য জাতের ধান থেকে ব্রি ধান ৪৯ কে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন, যেমন-ব্রি ধান ৪৯ অপেক্ষাকৃত চিকন, পানি ও রোগ পোকামাকড় সহিষ্ণু, তুলনামূলকভাবে আগাম ফলন, বাজারে দাম ভাল পাওয়া যাবে এবং খেতে বেশ সুস্বাদু । কৃষকদের দাবী  আগামী মৌসুমে ভাল বীজ পেলে এ এলাকায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষক উদ্বুদ্ধ হবে।