নগরীর আলোচিত সাতটি মামলার আসামী পুলিশের খাঁচায় তবুও অগ্রগতি নেই

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ নগরীর আলোচিত সাতটি মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী পুলিশের খাঁচায়। অথচ অভিযোগ উঠেছে পুলিশ মোটা অংকের অর্থের রফাদফায় অনেকটাই নিশ্চুপ।

সম্প্রতি মামলার এজাহার ভূক্ত আসামীদের আদালতের নিদের্শে তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডে আনলেও নাটকিয় ভাবে মামলার বাদির সামনেই অনেকটা শালা দুলাভাইয়ের আচরন নিয়ে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এখানেই স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মেট্রো ডিবির এসআই সাখায়াতের ভবিষ্যত পরিকল্পনা। যেহেতু সংশ্লিষ্ঠ মামলার সাথে কোটি কোটি টাকার যোগসূত্র রয়েছে। সেহেতু পুলিশ আপাতো দৃষ্টিতে মামলার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে লোক দেখানোর জন্য (আইওয়াস) মূলক প্রতিবেদন দাখিলের পরিকল্পনায় আছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এক্ষেত্রে মামলা তদবিরের অর্থে জোগান দিচ্ছে মামলার আসামী বিক্রম জিৎ দে’র মামা গোবিন্দ সরকার।

অভিযোগ সূত্রে পাওয়া গেছে, মামা গোবিন্দ সরকারের মামলা তদবিরের অর্থ আসছে ভাগ্নে বিক্রম’র ডাকাতি করে রেখে যাওয়া সম্পদ দিয়ে। যা প্রশাসন একটু গভিরভাবে তদন্ত করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।  

ডাকাতদল এতটাই পরিকল্পিতভাবে ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে যে তার সাথে আটককৃত আসামীদের সংশ্লিষ্টতা সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বেছে নেয়া হয়েছিল বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে। যেমন ২০১০ সালের শারদীয় দূর্গাৎসবের দশমীর দিন রাতে যখন নগরবাসী ব্যস্ত তখন আ’লীগ নেতা কাশিনাথ দত্তের বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটানো হয়। একই বছর ঈদুল আযাহর দিন নগরীর কাটপট্টি রোডের জনপ্রিয় জুয়েলার্সে,২০১১ সালে রোজার ঈদের চাঁদ রাতে নগরীর বধুয়া জুয়েলার্সে ডাকাতদল ডাকাতি করে সর্বোস্ব লুটে নেয়, ২০১২ সালে ১লা বৈশাখ, ইত্যাদি জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ দেবনাথ’র পদ্মাবতী বাসায় এবং ওই বছর নগরীর সদর রোড সুব্রত স্টোর্সে মালিক জয়দেব কর্মকারের বাসায় ডাকাতি করে সংশ্লিষ্ট ডাকাত দল। এতো কিছুর পরও পুলিশ নিরর্বিকার। ডাকাতদলের কাছে সর্বশান্ত হয়ে পরিবার গুলো এখন দিশেহারা। তার উপর রয়েছে টাকা না দিলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন। এযেন মরার উপর খরার ঘাঁ। নি:স্ব পরিবার গুলোর আকুতি প্রশাসন একটু তদন্ত করলেই ডাকাতির রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব। যেখানে আসামীরা ডাকাতির মালামাল বিক্রি করেছে সেই মাদারীপুরের দীপ জুয়েলারির মালিকের পুত্র নিখিল পুলিশের হাতে। তাকে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করছে ভূক্তভোগীরা।

এব্যপারে মামলার তদন্তকারীর কর্মকর্তা কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়েটি সুকৌসলে এড়িয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর গভীর রাতে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এবং এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলো মাদারীপুর পুরান পাড়া মোড় এলাকার দীপ জুয়েলার্সের মালিক অভিনাশের ছেলে নিখিল (২৮), সদর উপজেলার কড়াপুর এলাকার মৃত আ: রশিদের ছেলে পলাশ (২৮),নগরীর কাটপট্টি চার্চ ওয়ার্ড মন্দির সংলগ্ন সুধির কুমারদে’র ছেলে বিক্রম জিৎ দে (৩৮)।