কবর থেকে লাশ চুরি

প্রকাশ হলে এলাকাবাসী গোরস্থানে ছুটে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়। গোরস্থানে উপস্থিত জনগন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, লাশ চুরি করা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর নগ্ন থাবা। এই দুঃসাহসী ঘৃণ্য কাজ যারা যেভাবেই করুক না কেন এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। যদি এই অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচার করা না যায় তাহলে আগামীতে এই কবরস্থানে লাশের কোন নিরাপত্তা থাকবে না। এ ব্যাপারে গিয়াসের বিধবা স্ত্রীর সাথে আলাপ করলে তিনি এই ঘটনায় তার বড় ছেলে লালন (২৮)সহ তার ৩ জন দেবর ও অন্যান্য লোক জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন। কারন গোরস্থান হতে চুরি যাওয়া লাশ অনেক খোঁজাখুঁজির পর গিয়াসের ভাই আমিন উদ্দীনের জমিতে চাপা মাটি দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর গিয়াস উদ্দীনের মা ১০৮ বছর বয়সী টুকিজান হতবিহবল হয়ে পড়েন। অশ্র“সিক্ত অবস্থায় সেও এই অপকর্মের বিচার প্রার্থনা করেন। খলিসাকুন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাবের আলীর সাথে আলাপ করলে মানবতাবিরোধী এই ঘৃণ্য কাজের জন্য তিনিও দোষীদের শাস্তির দাবী করেন। সর্বোপরি এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ঘৃণা ও ক্ষোভ দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গিয়াসের বিধবা স্ত্রী দৌলতপুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। লাশ চুরির মত এই জঘন্য অসভ্য ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার হউক প্রশাসনের নিকট এটাই সকলের প্রত্যাশা।