২০০৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর পৈত্রিক ভিটায় কলার চারা, সবজি রোপন করেন তিনি। পর্যায়ক্রমে ওই সকল বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা জমা হয়। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত চাষের লাভ দিয়ে জমি কিনে তাতে কলাবাগান গড়ে তুলেন কিন্তু ২০০৭ সালে সিডর, আইলাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কলাবাগান নষ্ট হয়ে গেলে সমরদাসের স্বপ্ন হারিয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে সমরদাস হতাশ হয়ে পরে। স্বপ্ন দেখেন নতুন করে বাঁচার, পুনরায় বাবার ১০ শতাংশ জমির ওপর একটি বাউকুল বাগান করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি হতাশার মধ্যেও লক্ষ্য তার স্বাবলম্বী হওয়া। বাবার উৎসাহে ২০০৭ সালে তিনি বাউকুল বাগানের সিদ্ধান্ত নিয়ে শতাধিক চারা রোপন করে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ২বারে বাউকুল বিক্রি করেন। তিনি জানান এতে তার বছরে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। তার ভাগ্যর চাকা ঘুরিয়ে দিল বাউকুল বাগান। শুরু হলো তার নতুন যাত্রা। আয়কৃত অর্থ দিয়ে নতুন করে মাছ চাষ, কলা বাগান, সবজি চাষ শুরু করেন। বাগান পরির্চযার জন্য ২ জন শ্রমিক কাজ করেন। ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সমরদাস জানান, আর্থিক সহয়তা পেলে কৃষি ভিত্তিক একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান করার প্ররিকল্পনা রয়েছে। এজন্য তিনি সার্বিকভাবে সরকারের সহযোগিতা চান। এ বাগান সমরদাসকে শুধু স্বাবলম্বীই করেনি, তৈরী করেছে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের । তার এবাগান দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ। বাগান দেখতে আসা জহিরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন সহ অনেকেই বলেন, এবাগানটি আমাদের সমাজের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অনুপ্রেরনা জোগাবে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ লেখকের এই লেখাটি সর্বস্বত্ব সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতিরেকে লেখার আংশিক বা পূর্ণ অংশ কোন ধরনের মিডিয়ায় পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না, উপরোক্ত শর্তের ব্যতিক্রম হলে তার বা ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিস্তারিত যোগাযোগ করুন- এইচ, এম সুমন Mobile : +৮৮ ০১১৯০৭৯০৩৯৯