বরিশালে সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

দানিসুর রহমান লিমন, বাকেরগঞ্জ ॥  বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দখল করা প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে দেয়া সংখ্যালঘু পরিবারের পক্ষে গোপাল চন্দ্র সাহার এক লিখিত আবেদনে এ দাবি করা হয়।

লিখিত আবেদনে জানা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গোপাল চন্দ্র সাহা গংদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি জবর দখল করে নিয়েছেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও তার লোকজনে। এ ঘটনার পর পরই রাজেশ্বর চন্দ্র সাহার পুত্র গোপাল চন্দ্র সাহা বাদি হয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলা নিস্ফত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই জমির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আবেদনে আরো জানা গেছে, মামলা দায়েরের কারনে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে ব্যর্থ হয়ে পৌর মেয়র কৌশলে দখল করা সম্পত্তির ওপর পৌর কাঁচাবাজার ও মার্কেট নির্মানের ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী জোরপূর্বক মেয়র ও তার লোকজনে দখলকরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তির ওপর মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করেন।

গোপাল চন্দ্র সাহা জানান, পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন থেকে লোলুপ দৃষ্টি পরে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর। তারই ধারাবাহিকতায় প্রভাবশালীরা তাদের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখলকারীরা তাদের সম্পত্তির ওপর অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। গত সোমবার (১ জুলাই) পাকা ভবনের ছাঁদ ঢালাইয়ের সময় থানা পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করলে পুলিশের সাথে দখলকারী মেয়র সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ওইসময় পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়রের লোকজনে তাকে ও তার ওয়ারিশদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমিক দেয়। তাদের হুমকির মুখে গোপাল ও তার ওয়ারিশরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। তারা প্রভাবশালী দখলকারীদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।   

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে থানা পুলিশ ওই সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মানে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মেয়রের উপস্থিতিতে তার লোকজনে স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয়; পৌরবাসীর সুবিধার্থে কাঁচা বাজার ও মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে।