বাসের চাপায় করুন মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবা দুপুর ১২ টার সময় লালমহন গজারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসী ঘাতক বাসটিতে ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। গাড়িটিতে আগুন নেভাতে যায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। উত্তেজিত এলাকাবাসি রাস্তার উপর গাছ ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ফলে ভোলা ও চরফ্যাশন মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, এসএসসি ও এইচ এসসি পরীক্ষাথী কুট্রি ফরাজির ছেলে সুমন (১৫), কামাল ফরাজির ছেলে জিহাদ (১৪)। তারা দুজন চাচাতো ভাই গজারিয়া বাজারের চায়ের দোকানদার ফিরোজকে সাথে নিয়ে সুমন ও তার ভাই জিহাদ হোন্ডা নিয়ে বাজার থেকে রওয়ানা দেয় রমাগঞ্জ মরহুম মাওলানা আব্দুল বারি হুজুরের কবর জিয়ারত করে দোয়ার জন্য। কিন্তু দোয়ার পরিবর্তে মৃত্যু তাদেরকে টেনে নিয়ে গেল চলন্ত বাসের চাকার নিচে।
ঘটনাস্থলে মৃত্যু ঘটে সুমন ও জিহাদের। হাসপাতাল নেয়ারপর মারা যায় ব্যবসায়ী ফিরোজ। ঘটনাস্থলে লালমোহন থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাসহ প্রশাসনের লোকজন থাকলেও তাদের কোন শান্তনা কাজে আসেনি বিক্ষোভকারীদের কাছে। উত্তেজিত এলাকাবাসী বিচার না হওয়া পর্যন্ত লাশ নিতে বাধা দিলে উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিচারের আশ্বাস দিয়ে লাশ দিতে বলে এলাকাবাসিকে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরন করে।