শেবাচিমে চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

অভাবে বুধবার দুপুরে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যু ফাতেমা বেগমের (২৪) স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, মুর্মুর্ষ অবস্থায় ফাতেমাকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেও চিকিৎসকেরা কোন ব্যবস্থাপত্র না দেয়ার কারনেই ফাতেমা মারা গেছে।

জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের ফারুক আহমেদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কয়েকদিন আগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে বুধবার বেলা ১১টায় শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের ৪ তলার ৫নং ওয়ার্ডের মহিলা মেডিসিন বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাকে সেখানে নেয়ার জন্য দায়িত্বশীল কেউ ট্রলি নিয়ে আসেনি। এজন্য স্বজনরা বার বার দায়িত্ব পালনরতদের বিষয়টি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। দুপুর ১২টার দিকে ফাতেমা বেগম মারা যায়। স্বামী ফারুক আহমেদ জানান, তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ফাতেমা মারা যেতো না। তিনি বলেন, হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণেই ফাতেমা মারা গেছে। এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার ফারুক আহমেদ বলেন, ওই সময়ে হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ না থাকায় লিফট বন্ধ ছিল। ফলে ট্রলিতে করে রোগীকে ৪র্থ তলার মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি।