কর্ণেল তাহেরের বিচার অবৈধ : হাইকোর্ট

এ জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়ী বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার)তাহেরের বিচারের বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদনে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেয়। কর্ণেল তাহেরকে সামরিক বিচারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালত বলেছে, ওই বিচারে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। কর্ণেল তাহেরকে শহীদের মর্যাদাও দিতে সরকারের প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর ৭ই নভেম্বর ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর কর্ণেল এমএ তাহেরসহ ১৭ জনকে সামরিক আদালতে বিচার করে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেয়া হয়। ২১ জুলাই ভোররাতে কর্ণেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ওই বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর্ণেল তাহেরের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, কর্ণেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের এবং সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ গত বছর একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। তাদের আবেদনের পর গত বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট তাহেরের গোপন বিচারের নথি তলব করে। একইসঙ্গে তাহেরের বিচারের জন্য সামরিক আইনের মাধ্যমে জারি করা আদেশ এবং এর আওতায় গোপন বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২৬ জানুয়ারি আরো একটি রিট আবেদন করা হয়। পরে আদালত নয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করে। এছাড়া তাহের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আদালতে বক্তব্য দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসেন হংকং থেকে প্রকাশিত ফারইস্টার্ণ ইকোনোমিক রিভিউর তৎকালীন প্রতিনিধি মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুজ। আদলতে তার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।