ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রেহাই পেতে চায় ২২টি ভূমিহীন পরিবার

পরিবার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। তাদের চক্রান্তের কারনে নিঃস্ব হয়ে পরেছেন ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা।

অভিযোগে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক ১৭ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বরাদ্দকৃত সাড়ে তিন একর জমি ইতোমধ্যে জবরদখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। ওই চক্রটি একটি এলাকার আরো ৫টি ভূমিহীন পরিবারের সম্পত্তি দখলের জন্য নানামূখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের। নিরুপায় হয়ে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সহযোগীতা কামনা করেছেন। উপজেলার কালনা গ্রামের ভূমিহীন তোতা খলিফা (৪৫) জানান, গৌরনদীর উত্তর পিঙ্গলাকাঠী মৌজার পালরদী চরে জেগে ওঠা ৩ একর ৩৪ শকত সরকারী খাস জমি ১৯৯৮, ৯৯ ও ২০০০ সালে তিন দফায় ১৭টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বন্টন করেন সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু ওই জমি জোড়পূর্বক দখল করে নেয় উত্তর পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ইসাহাক বেপারী ও মোশারফ বেপারী। তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা জালজালিয়াতির মাধ্যমে বরিশালের সম্পত্তিকে মাদারীপুর জেলার সম্পত্তি দেখিয়ে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত ভূমিহীন পরিবারদের সম্পত্তি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে ভুমিহীনরা স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসে ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসে ওই দুই ভূমিদস্যুরা জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত ভাবে মামলাটি বরিশাল জোনাল অফিসে স্থানান্তর করেন।

যার ফলে হতাশ হয়ে পরেছেন ভূমিহীন পরিবারের লোকজন। উত্তর পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের হাবিব বেপারী (৪০) জানান, ২০০৮ সালে উত্তর পিঙ্গলাকাঠী মৌজার এস.এ ১৫৮০, ১৫৯২, ১৫৯৩, ১৫৯৪ খতিয়ানের (মুলদাগ-৩১৭), ১৪২৯, ১৪৩০ দাগের ১ একর খাস জমি ৫টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সরকারী ভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় ভূমি অফিস ওই জমির সরেজমিন মেপে সীমানা পিলার নির্ধারন করে ভূমিহীনদের দখল বুঝিয়ে দেয়। ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, ভূমিদস্যু ইসাহাক ও মোশারফ বেপারী ওই জমিও দখলের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। তারা একের পর এক ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। ভূমিদস্যুরা একই পন্থায় বরিশালের জমিকে মাদারীপুরের জমি দেখিয়ে ওই ৫টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

তারা আরো জানান, গৌরনদীর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার অধির কুমার কর্মকার ৩১ ধারায় ভূমিহীনদের রেকর্ড দিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী পক্ষ উক্ত রায়ের বিপক্ষে বরিশাল জোনাল অফিসে আবেদন করলে আপিল অফিসার আতাউর রহমান আপীল মঞ্জুর করেন। এ কারনে হয়রানীর আশংকা করছেন ভূমিহীনরা। তারা এ ব্যাপারে বরিশাল জোনাল অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করে উক্ত আদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

রিপোর্ট: খোকন আহম্মেদ হীরা।