ছয় ঘন্টা পর কলেজ ছাত্রী উদ্ধার, ২জন গ্রেফতার

৬ ঘন্টা পর পুলিশের অভিযানে উদ্ধার। ঘটনার সাথে জড়িত সন্ধেহে ২ জন গ্রেফতার।  

ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষ দর্শী ও পুলিশ বরাতে জানাগেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার রামানন্দের আঁক গ্রামের মুকুন্দলাল মিস্ত্রির কন্যা কনক মিস্ত্রি (১৯) ঢাকা টিচার্চ ট্রের্নিং কলেজে অধ্যায়রত। বুধবার  বাড়ী আসার উদ্দেশ্যে ঢাকা গাবতলী থেকে হানিফ পরিবহনে বিকাল ৩:০০ টায় গৌরনদী নেমে তাকে বাড়ী নিয়ে যাওয়ায় অপেক্ষারত কাকাত ভাই সবুজের সাথে টেম্পু যোগে আগৈলঝাড়া রওনা হয় পথিমধ্যে কনক অসুস্থ বোধ করলে গৈলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতাল চত্বরে খপ্পরে পরে তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয় একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী কায়েশ ও তার সহযোগী আরীফ, রফিকুল, কাঞ্চন ও কাওছারের কাছে। কনক ও তার ভাইকে প্রেমিক-প্রেমিকা আক্ষ্যা দিয়ে ঐ বাহিনী চাঁদা দাবী করে। এক পর্যায় সবুজকে মারধর করে তার সাথে থাকা  নগদ অর্থ ও মোবাইল সেট কেড়ে নেয় ঐ বাহিনী। সবুজের কাছ থেকে কনক কে বিচ্ছিহ্ন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চলে কায়েস ও  তার  ২ সহযোগী কাওছার ও কাঞ্চন। এ সংবাদ কনকের আপনজনদের নিকট পৌছালে সন্ধা নাগাদ তারা থানা পুলিশের সহায়তায় কনক কে উদ্ধার অভিযানে নামে।

পুলিশ হাসপাতাল চত্বর থেকে এ ঘটনায়  জড়িত সন্ধেহে আরীফ সরদার (২৪) ও রফিকুল ইসলাম (২০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের  স্বীকার উক্তি মোতাবেক এস আই   জসিম, এস আই ফোরকান, এস আই ইদ্রিস, এ এস আই মনির পুলিশ বাহিনী ৪ কিলোমিটার দুরে রাংতা গ্রামের নির্জন স্থান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় কনককে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও কায়েশ ও তার বাকী সহযোগীদের ধরতে পারেনি। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা কনকের পরিনতি কি হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানা না গেলেও বুধবার রাতেই কনকের ভাই শংকর লাল মিস্ত্রি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। গতকাল গ্রেফতারকৃত আরিফ , রফিকুল ও কনককে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

কে এই কায়েশ ?
আগৈলঝাড়া উপজেলা ছত্রলীগ সাধারন সম্পাদক সোয়েব ইমতিয়াজ লিমনের সাথে কয়েক দীর্ঘদিন থেকে অজানা এই কায়েশের আগৈলঝায়  উপস্থিতি । কায়েশের পিতৃ পরিচয় বা জন্ম স্থান আগৈলঝাড়ার কেউ জানে না। এ যাবৎ অগনিত অপরাধের ঘটনার সাথে কায়েশের সংশ্লিষ্টতা থাকার নজির আগৈলঝাড়া বাসীর দৃশ্যমান। পুলিশ জানায় কায়েশ একাধিক  মামলার আসামী। অপরদিকে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৈলা) অভ্যান্তরে  বহিরাগত দালাল মাস্তানদের দৌড়াত্ব আশংঙ্খজনক বৃদ্ধি পাওয়ায় দুরাগত স্থান থেকে রোগী ও তাদের অভিভাবকদের বিবৃতকর অবস্থায় ফেলে চাঁদাবাজী এমনকি শারিরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অহরহ।