চাঁদাবাজি মামলায় নাদিয়া হত্যার ঘাতক রেজাউল খালাস

সিকদারের চাঁদাবাজি মামলা থেকে বৃহস্পতিবার খালাস পেয়েছে। বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষনা করেন। খালাস পাওয়ার রায় ঘোষনা শুনে এজলাসে আনন্দে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সিকদার সফিকুর রহমান রেজাউল। এর আগে চাঁদাবাজি মামলার রায় ঘোষনার জন্য রেজাউলকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার বরিশাল কারাগারে আনা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সনের ১০ আগস্ট গৌরনদীর টরকী বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মাওলা সরদারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রেজাউল সিকদার তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। রেজাউল তার ক্যাডারদের অব্যাহত হুমকির মুখে ব্যবসায়ী মাওলা সরদার রেজাউলকে দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য রেজাউল তাকে (মাওলাকে) ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপায়ান্তুর না পেয়ে ব্যবসায়ী মাওলা সরদার গৌরনদী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন গৌরনদী থানার এস.আই মোঃ মাসুমুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ নভেম্বর রেজাউল সিকদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা জজ থেকে মামলাটি বিচারের জন্য দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে প্রেরন করা হয়। সাতজন স্বাক্ষীর মধ্যে আদালত ৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে চলতি বছরের ২১ জুলাই আইনী যুক্তি তর্ক (আগুমেন্ট) সম্পন্ন করে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল পরিকল্পিত ভাবে ঢাকার বসে রেজাউল তার চতুর্থ স্ত্রী কামরুন নাহার নাদিয়াকে হত্যা করে। একপর্যায়ে নাদিয়ার লাশ গুমের জন্য রেজাউল তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারযোগে ঢাকা থেকে গৌরনদী আসার পথিমধ্যে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ লাশবাহী প্রাইভেটকারসহ খুনী রেজাউলকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় হতভাগ্য কামরুন নাহার নাদিয়ার ভাই সজিব আহম্মেদ শাহ্রিয়ার সুজন বাদি হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আলোচিত হত্যা মামলাটি সিআইডি পুলিশের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।