গৌরনদীতে হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ॥ গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বাসুদেবপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক প্রবাসীর বসত ঘরে মঙ্গলবার রাতে অগ্নিসংযোগ করেছে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় ওই এলাকার সংখ্যালঘুদের মাঝে চরম আতংক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের দায়ী করেছেন।
প্রবাসী তপন কুমার ঘরামীর স্ত্রী সীমা রানী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা তাদের বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। ওই ঘরের শিশু হৃদয় প্রথমে আগুন দেখে ডাকচিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ফলে সম্পূর্ণ ভস্মিভূতর হাত থেকে ঘরটি রক্ষা পেলেও অগ্নিকান্ডে ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানার ওসি আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম খান, পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত দে, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু সহ আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এরপূর্বে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা উজিরপুরের গুঠিয়া গ্রামের শ্যাম মালাকারের বাড়িতে অবস্থিত সার্বজননী কালী মন্দিরে ও গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী এলাকার বোরাদী গরঙ্গল গ্রামের সার্বজননী দূর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সাবেক পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার ॥ গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী এলাকার বোরাদী গরঙ্গল সার্বজননী দূর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে থানা পুলিশ গৌরনদী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ৯নং ওয়ার্ড  বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন বেপারীকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতংকে গাঁ ঢাকা দিয়েছে আলাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও খুলনার কুখ্যাত খুনী এরশাদ সিকদারের সহযোগী গেরাকুল গ্রামের গোলাম মোর্শেদ পান্না। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জন।