নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে নির্মানাধীন বাইপাশ সড়কের ভূমি অধিগ্রহনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা,কর্মচারি,ভূমি মালিকদের যোগসাজেসে সড়কারি টাকা লোপাটের মহোৎসব চলছে। জালজালিয়াতের মাধ্যমে জমির দাম ও পরিমান বেশী দেখানো অবকাঠামোর ভূয়া তথ্য দেয়াসহ চলছে নানা অনিয়ম। যেখানে একটি কলাগাছের দাম ১৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কতৃক নির্মানাধীন বাইপাশ সড়কে রাজিহার গ্রামের জৈনিক হোসেন মোল্লার ক্রয়কৃত কিছু জমি সড়ক নির্মানের জন্য অধিগ্রহন করা হয়। মানসিক ফুলশ্রী মৌজার ৪৪১ নং দাগে ৪ শতক,৪৩৭ নং দাগে ৩০ শতক জমি এবং এর উপর অবকাঠামো,মূল্যবান গাছসহ এর ক্ষতিপুরন ধড়া হয়েছে ১৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৮১ টাকা। এর মধ্যে জমির দাম ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার এবং অবকাঠামো,গাছপালার ক্ষতিপুনরবাবদ ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৮১ টাকা। অথচ সুত্রমতে অধিগ্রহনকৃত ওই জমিটি ছিল নিচু জমি এবং অবকাঠামোর মধ্যে ছিল রাস্তার পাশে একচালা একটি চায়ের দোকান। মুল্যবান গাছপালার মধ্যে ছিল একটি কলাগাছ যার মূল্য ধরা হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। উল্লেখ্য ওই জমির অপর পাশে কিছু গাছপালা আছে যা অধিগ্রনকৃত জমির মধ্যে পড়েনি তাও এর আওতায় দেখানো হয়েছে। জমির যে মূল্য দেখানো হয়েছে তাও বর্তমান মূল্যের চেয়ে অনেকগুন বেশী। অপর একটি সুত্র জানায় জৈনিক হোসেন মোল্লাহ কয়েক বছর আগে জনৈক এস এ ফয়েজের কাছ থেকে ১০ সতক জমি ক্রয় করে । যে জমিটি নিচু ও ডোবা ছিল। এলাকার একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান শুধু হোসেন মোল্লাই নয় টোটাল সড়কের ভূমি অধিগ্রহনে অবাগ করার মতো অনিয়ম হয়েছে সড়কারের দূর্নীতি দমন বিভাগসহ শংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে এ সব অনিয়ম বেড়িয়ে আসবে।
এ ব্যপারে বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাস অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন রাস্তাটি নকসা বর্হিভূত হওয়ায় আমরা আপত্তি দিয়ে আসছি যাতে রাস্তাটি মূল নকসা অনুযায়ী হয় সে জন্য আমরা জেলা প্রসাশনকে অবহিত করছি রাস্তায় আমার নিজেরও কিছু জমি পড়েছে ।