বরিশালে দলীয় কর্মীদের হাতে এমপি মনি লাঞ্চিত – রাজনীতির ভিন্ন মোড় – উত্তেজনা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়া এক আ’লীগ নেতাকে নিয়ে কটুক্তি করায় নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা মিলনায়তনে। জনরোষ থেকে এমপি মনিকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ সানোয়ার হোসেন। তবে তিনি আহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পর পরই সংঘর্ষ ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেল করতে বরিশাল ও বাবুগঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসানউল্লাহ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সকালে উপজেলা মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় যোগ দিতে সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে বানারীপাড়ায় আসেন শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নাতী ফাইয়াজুল হক রাজু। তার আগমনের পর থেকেই দু’ভাগে বিভক্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা শুরুর পর দু’গ্র“পের নেতাকর্মীরাই সভায় অংশগ্রহন করেন। এসময় এমপি মনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুভাষ শীল ও সাধারন সম্পাদক মাওলাদ হোসেন ছানাসহ সভায় উপস্থিত শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হকের নাতী ফাইয়াজুল হক রাজুকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তাৎক্ষনিক সভায় অংশ নেয়া পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন মোল্লা ও ফাইয়াজুল হক রাজু এর প্রতিবাদ করলে এমপি মনি ফাইয়াজুল হক রাজুকে ধাক্কা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তার সমর্থকেরা। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা এমপি মনিকে লক্ষ্য করে মঞ্চস্থলের অসংখ্য চেয়ার ছুঁড়ে মারে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বানারীপাড়া থানার ওসি সরোয়ার হোসেন এমপি মনিকে সড়িয়ে নিয়ে নেতা-কর্মীদের জনরোষ থেকে রক্ষা করেন। একপর্যায়ে এমপি মনির সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর পরই আ’লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা এমপি মনির বিচারের দাবি করে বানারীপাড়া থানার সম্মুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নাতী ফাইয়াজুল হক রাজু। তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমপি মনির বক্তব্য ও অসৌজন্যমুলক আচাড়নের প্রতিবাদ করেছে সাধারন জনতা। এমপি মনিকে একাধিকবার ফোন দেয়া সত্বেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসানউল্লাহ বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর পরই ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাত এড়াতে বরিশাল ও বাবুগঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।