এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বিষ প্রয়োগে প্রেমিক কর্তৃক হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর কবর থেকে নিহতর লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন পুলিশ প্রশাসনের আবেদনে জেলা প্রশাসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিলেই লাশ উত্তোলন করতে আর কোন আইনি বাধা থাকবেনা বলে জানান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিণ মোল্লাপাড়া গ্রামের আ. জব্বার হাওলাদারের মেয়ে উজিরপুর উপজেলার জল্লা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ঝুমুর আক্তারের সাথে একই এলাকার মৃত আকবর আলী হাওলাদারের ছেলে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারি হিসেবে পয়সারহাটে কর্মরত লোকমান হাওলাদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুযোগে ঝুমুরের সাথে মেলা মেশায় অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে সে। ঝুমুর তার প্রেমিক লোকমানকে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে লোকমান একাধিক বার তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে গত ৯ মার্চ গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ঝুমুরকে অষুধের সাথে বিষ খাইয়ে কৌশলে হত্যা করে। প্রেমিক লোকমান তরিঘরি করে পোষ্টমর্টাম ছাড়াই বরিশাল থেকে লাশ বাড়ি এন দাফন করে।

দীর্ঘদিন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পরে বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়ে। ২২ মার্চ গৌরনদী সার্কেলের এএসপি সার্কেল কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর  এঘটনায় নিহত ঝুমুরের ভাই সহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৩ মার্চ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। যার নং-৯। মামলার প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই  আক্কাস আলী আদালতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ আদালত হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য গত ২৫ মার্চ আগৈলঝাড়া থানাকে নির্দেশ দেয়।

ওসি সাজ্জাদ আরও জানান, আদালতের নির্দেশের পর  জেলা প্রশাসকের কাছে লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ে আবেদণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেচ নিয়োগ দেয়া হলেই লাশ উত্তোলন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লাশ উত্তোলন করার অনুমতি পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।