আগামি ১৬ ফেব্রুয়ারি গৌরনদীর

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর বিশ্বাস জানান, আগামি ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ড’র উদ্বোধন করবেন। তার উদ্বোধনের পর পরই গৌরনদীর কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ড বিতরন করা হবে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রত্যেক চাষীকে কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ডের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ কার্ডে রয়েছে কৃষক পরিচিতি, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, প্রকৃত আবাদি জমি, কৃষকের ছবি ও ভর্তুকির বিবরন। গত একমাস ধরে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ৩০ হাজার ৮ শত কৃষকের জন্য কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে প্রেরিত কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ডের ফরম পূরন করা হয়েছে। আর এ কাজে সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা উপজেলা ও পৌর এলাকার প্রত্যেক কৃষকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কৃষকদের সাথে আলোচনা করে কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ডের ফরম পূরন করেছেন।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ডে কৃষকদের ছবি দেয়ার কারনে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তোলার তাগিদ দিয়ে প্রতিটি কার্ড তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে। প্রত্যেকটি কার্ডে প্রতিটি ব্লকের এসএএও, ইউপি চেয়ারম্যান অথবা পৌর মেয়র, উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কার্ডে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ব্লক ও কৃষক পরিচিতির কোড নাম্বার রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের কৃষক হেলাল মিয়া, আলাউদ্দিন ঘরামী, কাসেমাবাদ গ্রামের আমিনুল ইসলাম তোতা, জাকির হোসেন, আশোকাঠী গ্রামের মোফাজ্জেল সরদারসহ একাধিক কৃষক বর্তমান সরকারের এমনই এক মহতি উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, কৃষক ও কৃষি উন্নয়নে “কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ড” তৈরির কারনে ভবিষ্যতে সরকারি ভাবে কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদান আত্মসাতের আর কোন ঘটনা ঘটবে না। তারা আরো জানান, মহাজোট সরকার গঠন করার পর পরই সার ও ডিজেলের ভতুর্কি, সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পূর্ণবাসনের জন্য সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরন, সর্বপ্রথম বর্গা চাষীদের মধ্যে ঋণ বিতরন, বিনামুল্যে সার ও বীজ বিতরনের পর কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ড তৈরির উদ্যোগ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।