আগৈলঝাড়ায় অবৈধ স্পিড বেকারই এখন জীবন সংশয়ের কারণ!

দেলোয়ার সেরনিয়াবাত ॥ স্পিড ব্রেকার জীবন বাচায়, আর অনিয়ন্ত্রিত সেই স্পিড ব্রেকার এখন জীবন সংশয়ের কারণ হয়ে দারিয়েছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। এ উপজেলার প্রধান সড়ক সহ আভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও এলজিইডি’র কোন অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন যায়গায় ইচ্ছেমত তৈরী করা হয়েছে গতিরোধক স্পিড ব্রেকার। আর  অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকারে কোন রং বা সংকেত চিহ্ণ না দেয়ায় ওগুলো এখন দূর্ঘনার মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাকা সড়কগুলোতে নিজেদর ইচ্ছামত রাস্তার উপর তৈরি করছে গতি রোধক। প্রতিদিন পরিচিত-অপরিচিত নানা ধরনের যান চালকেরা এই গতি রোধের নিশানা নাজানার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের আগৈলঝাড়া থানার নিকটবর্তী নগরবাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন তৈরি করা দুটি অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকারে প্রতিদিন গড়ে ৫-৭টি দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানিয়রা জানায়।

দূর্ঘটনার ফলে পঙ্গুত্ব বরন করতেও হয়েছে অনেককে, যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া উপজেলার ধরাধর দিঘিরপাড় সড়কে, মিশ্রীপাড়া, বারপাইকা বাজার, আস্কর কালীবাড়ি, নাঘিরপাড়, বাগধা বাজার, খাজুরিয়া, রাজিহার বাজার, স্কুল সংলগ্ন এলাকা, বাশাইল হাট, চেংগুটিয়া, গুপ্তের হাট, গৈলা বাজার, ঐচারমাঠ-পশ্চিম মোল্লাপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ততম সড়কের উপর আচমকা দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে অনেকেই পঙ্গুত্বকে আলিঙ্গন করেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের চোখের সামনে অবৈধভাবে স্পিড ব্রেকার নির্মান করা হলেও যেন বলার বলাকেউ নেই। এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম তালুকদার অপরিকল্পিত ও অতি উচ্চ মাত্রার স্পিড ব্রেকার উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। বরিশাল সওজের প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, অবৈধ স্পিড ব্রেকার তৈরি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। তবে অবৈধ গতিরোধক সরানোর ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসবেন বলে জানান। এ বিষয়ের বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, এবিষয়ে শিঘ্রই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।