নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ক্লাসে পড়া দিতে না পারায় বাথরুমে আটকে শাস্তি দেয়ার অপবাদ সইতে না পেরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র নাঈম আত্মহত্যা করে। প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লালনকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।
মামলা থেকে রক্ষা পেতে ওই শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার দুপুরে নাটকীয় ভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্কুল ছাত্র নাঈমের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় অভিযোগ উঠেছিলো অভিযুক্ত শিক্ষক লালনকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। অবশেষে গতকাল শনিবার নাটকীয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সে অভিযোগই সত্যি হলো। আকস্মিক ভাবে মেদাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিক্ষক লালনকে নির্দোষ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আকন সিদ্দিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, মেদাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই গ্রামের এস্কেন্দার আলী সরদারের ছোট পুত্র নাঈম সরদার গত ২ এপ্রিল বাংলা ক্লাশে পড়া দিতে না পারায় শ্রেনী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লালন তাকে সহ তিন ছাত্রকে বাথরুমে আটকে রেখে শাস্তি দেয়। এ নিয়ে সহপাঠীরা তাদের নানা উপহাস করে। এ অপবাদ সইতে না পেরে ৩ এপ্রিল দুপুরে নাঈম গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।