বরিশালে আধাপাকা ধানের সাথে শত্রুতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের লোকজনে রাতের আধাঁরে বিষাক্ত ঔষধ ছিটিয়ে ঝলসে দিয়েছে ১ একর ৬৮ শতক জমির আধাপাকা ইরি-বোরো ধান। এতে পথে বসার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্গাচাষীদের। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে একমাত্র ইরি-বোরো চাষের ওপর নির্ভরশীল বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইছাগুড়ি বাকাই গ্রামে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইছাগুড়ি বাকাই মৌজার এসএ নং ৫৩৩ দাগের ১ একর ৬৮ শতক জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক উত্তর মাগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরদার, মহব্বত আলী গং। মহব্বত আলী সরদার জানান, উক্ত জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাগুড়া-মাদারীপুর গ্রামের এচাহাক খলিফা ও সাদেক খলিফার সাথে দীর্ঘদিন থেকে তাদের বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে বরিশাল জেলা জজ আদালত, হাইকোট ও সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়েরের পর তারা রায় পান। পরবর্তীতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ওই জমি স্থানীয় হালিম হাওলাদার, ছালাম ও আবুল হোসেনের কাছে চাষাবাদের জন্য বর্গা দেয়া হয়। উত্তর মাগুড়া গ্রামের কৃষক হালিম হাওলাদার, আব্দুস ছালাম ও আবুল হোসেন জানান, তারা এনজিও ও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ১ একর ৬৮ শতক জমিতে ইরি-বোরো চাষ করেন। আর কয়েকদিন পরেই ওইসব জমির ধান কাঁটার কথাছিলো। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে জমিতে বিষাক্ত ঔষধ ছিটিয়ে সব ধান ঝলসে দিয়েছে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা। হাজ্বী করম আলী অভিযোগ করেন, মামলায় হেরে প্রতিপক্ষের এচাহাক খলিফা, সাদেক খলিফা ও তাদের লোকজনে বিষাক্ত ক্যামিকেল ছিটিয়ে সব জমির ধান ঝলসে দিয়েছে।

খবর পেয়ে শনিবার সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমি থেকে বিষাক্ত ক্যামিকেলের বোতলের কক উদ্ধার করে। গৌরনদী উপজেলা উদ্ভিদ ও সংরক্ষন কর্মকর্তা ফকরুল আলম বলেন, শত্র“তা মূলক আগাছা নাশক ঔষধ পানির সাথে মিশিয়ে পুরো ধান ক্ষেতে ছিটিয়ে দেয়ায় পুরো জমির ধান পুরে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান অপুরনীয়। খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউনিয়বাসীর একমাত্র আয়ের উৎস্য ইরি-বোরো চাষাবাদ। যারা এভাবে শত্র“তা করেছে সে যেই হোক না কেন তাদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিও করেন তিনি। গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।