ঘরোয়া চিকিৎসা ১০টি

ফজলুল করিম রনি দিন যাপনের সাথে সাথে নিত্যদিন আমরা মুখোমুখি হই নানান রকম ছোটখাট দুর্ঘটনার। যেমন কোথাও কেটে ছড়ে যাওয়া, কিংবা পুড়ে যাওয়া, পোকার কামড় ইত্যাদি আরও কত কি। আজ জানানো হলো তেমনই ছোটখাট দুর্ঘটনার জন্য কিছু চমৎকার ঘরোয়া চিকিৎসা।

– কোথাও কেটে গেছে আর রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না? ক্ষতস্থান বরফ শীতল পানিতে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ, কিংবা বরফ টুকরো কাপড়ে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগান। রক্তপাত বন্ধ তো হবেই, সাথে জ্বলুনিটাও কমবে।

– কোথাও কেটে গেছে আর বাসায় নেই অ্যানটিসেপটিক ক্রিম বা ব্যান্ড এইড? অসুবিধা নেই কিছু। বাসায় গাঁদা ফুলের গাছ থাকলে পাতা রস করে বা থেঁতো করে লাগিয়ে দিন ক্ষতস্থানে। অ্যানটিসেপটিকের কাজ করবে।

– কোথাও ছিলে গেলে তাজা হলুদ বাটা আর চন্দনের মিশ্রণ বানিয়ে প্রলেপ লাগিয়ে দিন। সেরে যাবে।

– নানান রকমের পোকা আছে, যাদের সংস্পর্শে গেলে শরীরে কাঁটা বিধিয়ে দেয় তারা। এই ধরনের পোকার কাঁটা শরীরে বিঁধে গেলে একটি পেয়াজ অর্ধেক করে কেটে নিন আর ক্ষতস্থানে ভালো করে ঘষুন। পেঁয়াজের সাথে কাঁটাগুলো উঠে আসবে।

– কোথাও পুড়ে গেলে সাথে সাথে পানি দিন। সম্ভব হলে ঠাণ্ডা পানি দিন বা কল খুলে পানির স্রোতের নিচে ক্ষতস্থান ধরুন। তাতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে এবং ফোসকা পড়বে না। পানি দেবার সময় পোড়া স্থানে বেশী করে লবণ ঘষুন। এতেও ক্ষতির পরিমাণ কমবে।

– কোথাও পুড়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়েই টুথপেস্ট লাগিয়ে দিন ক্ষতস্থানে। এবং বেশ পুরু করে। জ্বলুনি আর ব্যথা দুটোই কমে যাবে।

– মৌমাছি বা বোলতা কামড় দিলে প্রথমেই বিঁধে থাকা হুলটা বের করে নিন। তারপর ক্ষতস্থান ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও কাপড়ে বরফ নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগান। ফোলা ভাবটা কমে গেলে টুথ পেস্ট ঠাণ্ডা মধু লাগিয়ে দিন ক্ষতস্থানে। ভিনেগার লাগালেও ভালো ফল পাবেন এবং অবশ্যই একটা পেইন কিলার খেয়ে নিন।

– আজকাল অনেক রকমের বিষাক্ত মশা দেখা যায়। যারা কামড় দিলে স্বাভাবিকের চাইতে অনেক ফুলে যায় এবং ব্যথাও হয়। এই ব্যথা থেকে মুক্ত হতে মশার কামড়ের স্থানে তরল সাবান লাগিয়ে দিন। ফোলা এবং ব্যথা দুটো দেখেই মুক্তি মিলবে।

– বাড়িতে শতমূলী গাছ থাকলে একটি অংশ কেটে নিন, এবং কাঁটা অংশটি পোড়া জায়গায় ঘষুন। আরাম মিলবে। কিংবা লাগিয়ে দিন ডিমের সাদা অংশ।

– কোথাও ফোসকা পড়ে ফেটে গেলে জ্বলুনি হয় ভীষণ। এই ক্ষেত্রে অ্যানটিব্যাকটেরিয়াল পাউডার লাগান উক্ত জায়গায়। আরাম মিলবে।