বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় বৃহস্পতিবার সকালে গাছ চাপায় সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এ মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এছাড়াও ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ির, গাছপালা ও ইরি-বোরো ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জিয়াউল হক জানান, সকাল ১০টার দিকে গলাচিপার বনানী কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত জব্বার প্যাদার স্ত্রী রিজিয়া পারভীন (৫০) গাছ চাঁপা পড়ে মারা গেছেন।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ জানান, ভোলার সদর উপজেলার ধলিগৌর এলাকায় গাছ চাঁপা পড়ে আবুল কাশেম (৬৫) নামের এক ব্যক্তি ও চরফ্যাশন উপজেলার ২ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের পুত্র পারভেজ (৫) নামের এক শিশু মারা গেছে।
বরগুনার বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বাবুল আকতার জানান, বেতাগী উপজেলার রানীপুরের সৈয়দ আলী (৭৫), একই উপজেলার বকুলতলি গ্রামের আবির (৬) ও পালতলি উপজেলার ছোট আমভোলা গ্রামের চাঁন মিয়া (৭০) আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গাছ চাঁপায় মারা গেছেন।
এছাড়াও পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের বলাইকাঠি গ্রামে সিরাজ আকন (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঘর ও গাছ চাঁপায় অসংখ্য মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, মহাসেনের প্রভাবে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, গলাচিপাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে ভারি বৃষ্টিসহ ঝড় ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এ কারণে এসব উপজেলার প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ ও গাছপালা উপড়ে পরেছে। নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কে সেখানকার মানুষ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ের কারনে বুধবার রাত থেকে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।