মহাসেনের আঘাতে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥  মহাসেনের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর বরিশালের ওপর দিয়ে থেমে থেমে দমকা হাওয়া, ঝড় বাতাস ও প্রবল বর্ষনের ফলে জেলার দশটি উপজেলার পাকা ও আধাঁ পাকা ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বর্তমানে ইরি-বোরো ক্ষেতে হাঁটু সমান পানি জমে যাওয়া কৃষকেরা মহাদুশ্চিন্তায় পরেছেন। এছাড়া দমকা হাওয়ায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত থেকে জেলার দশটি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে ইন্টারনেট ও মোবাইল নের্টওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।

নগরীর রসুলপুর বস্তিতে হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। বরিশালে নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার ৩৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র ৩ হাজার ৫৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বরিশাল ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লা রুটের সকল  লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলম জানান, ১০টি উপজেলায় ২২৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ১৩৫ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠীতে এক হাজারেরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গলাচিপা, দশমিনা, মঠবাড়িয়ার ১২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।