ছাত্র ও যুবলীগ নেতাদের হামলায় চারজন জখম

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পৃথক তিনটি হামলায় চারজন জখম হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা ও অপর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গুরুতর আহত টরকী বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী জামাল শাহর পুত্র রাকিব শাহ অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ফরহাদ মুন্সী ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন থেকে তার বাবার কাছে মোটা অংকের টাকা চাাঁদা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে শুক্রবার সকালে তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রাকিব সাউন্ড সিস্টেম ও ইলিকট্রনিক্সের দোকানে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মভাবে জখম করে। সে তার বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। মুর্মুর্ষ অবস্থায় জামাল শাহকে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শনিবার দুপুরে জামালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী জেসমিন বেগম বাদি হয়ে গতকাল শনিবার ৯ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা বলেন, হামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

একইদিন বিকেলে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ বকতিয়ার হাওলাদার হামলা চালিয়ে আহত করেছেন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাইনুল হোসেনকে।

একইদিন রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার ছয়গ্রাম এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা তুষার, নয়ন, মেহেদী ও তাদের সহযোগীরা ক্ষুরাঘাত করে গুরুতর জখম করে গৌহার গ্রামের ছাত্রদল কর্মী ও সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ সাইফুল ইসলামকে। এ ঘটনায় সাইফুলের বড় ভাই কাওসার হোসেন বাদি হয়ে গতকাল শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তুষার ও তার বন্ধু  মুহিত আকনকে গ্রেফতার করেছে।