বরিশালে ঘূর্ণিঝড়ে নিহত-২ ॥ দু’শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালে ঘূর্ণি ঝড়ে গাছ চাঁপা পরে ও বজ্রপাতে দু’জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দু’জন। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় দু’শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বরিশালের উজিরপুর, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘূর্ণি ঝড় আঘাত হানে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর এগারোটার দিকে ঝড়ের আঘাতে উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী বাসষ্ঠ্যান্ড এলাকার ইউসুফ আলীর চায়ের দোকানের ওপর গাছ উপড়ে পরে ঝড়ে ওই দোকানে আশ্রয় নেয়া আব্দুল মতিন হাওলাদার নামের এক বৃদ্ধ গাছ চাঁপা পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। আহত হয় ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী ও অপর আশ্রয় নেয়া মোঃ তানভির। নিহত নিহত মতিন হাওলাদার (৬৫) উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া সেনের বাড়ি গ্রামের মৃত মফেজ হাওলাদারের পুত্র।

একই সময় গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণি ঝড় আঘাত হানে। এতে ওইসব এলাকার প্রায় দু’শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জের বাজিদ খাঁ গ্রামে একইদিন দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বজ্রপাতে খোরশেদ বেপারী নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে।

উজিরপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ঝড়ে গাছ চাঁপা পরে একজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আহত দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঝড়ে মহাসড়কের ওপর গাছ পড়ে থাকায় জয়শ্রী-শিকারপুর রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ তিনঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সড়কের ওপর থেকে গাছ সড়াতে সক্ষম হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় একাধিক বজ্রপাতের কারনে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের রবি টাওয়ারের যন্ত্রাংশ পুরে যাওয়ায় পুরো উপজেলা জুড়ে মোবাইল কোম্পানী রবির নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত দে জানান, ঝড়ের কারনে তার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি, অসংখ্য পান বরজ ও গাছপালা উপরে পরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের গৌরনদী জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বক্কর শিবলী জানান, ঝড়ের কারনে গাছ উপরে পরে তার অধীনে থাকা গৌরনদী, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার একাংশের বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে ঝড়ের পর থেকে এসব উপজেলায় প্রায় বিশ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে।