মুলাদীতে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী খাদিজার বাল্যবিয়ে

মেহেদী হাসান রাজু, মুলাদী ॥  মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের  চরপদ্মা গ্রামে মৃত হাবিবুর রহমান (হাবিব) মেলকারের মেয়ে খাদিজা (আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী) এর বাল্য বিবাহ একই গ্রাম (চিথুলিয়া) এর আবুল হোসেন হাওলাদারের পুত্র আনোয়ার হোসেনের সহিত। গত ২৭ মে রাতে সরকারের আইন অমান্য করে বাল্য বিবাহ হওয়ায়  এলাকার সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, বাল্য বিবাহর সংবাদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুনতে পেয়ে ঐ এলাকার গ্রাম পুলিশ আতাউর শিকদারকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাহে বাধা দিতে বলিলে গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে জানতে পারে বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়ের উকিল পিতা মোসলেম শরিফ, বিবাহের কাজ সম্পন্ন করেন মাওলানা নুরুল ইসলাম। এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা মোহরানা ধার্য্য করে একটি ফরমে বিধি মোতাবেক পক্ষদ্বয়ের স্বাক্ষর নিয়ে কাবিন লেখক মাওলানা আকিজউদ্দিন।

গ্রাম পুলিশ জানায়, জন্মনিবন্ধন দিয়ে মেয়ের বিবাহ পড়ানো হয়েছে, কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি। বিবাহের কাজী মাওলানা ইসমাইল হোসেনকে ঘটনা জানাইলে তিনি বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক মেয়ে ও ছেলের প্রাপ্ত  বয়স না হলে সেই বিবাহের কাবিন তিনি রেজিষ্টি করবেন না এবং তার অধীনে কোন লেখক যদি আইন বর্হিভূত কাবিন রেজিষ্টি করার চেস্টা করেন, প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন হওয়া ও প্রতিরোধ করার অনুরোধ জানান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফকরুল আহসান শাহজাদা মুন্সি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিবাহের তত্বাবধানে ছিলেন সোবাহান মেলকার ও শাহেআলম মেলকার। খাদিজার বাল্যবিবাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।